মুম্বই, 6 মার্চ: শুটিং করতে গিয়ে আবারও আহত বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan Injured)৷ প্রভাসের ফিল্ম প্রজেক্ট কে-এর একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং-এর সময় গুরুতর চোট পান তিনি ৷ নিজেই ব্লগে জানিয়েছেন যে, সেই সময় তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না, চলতে পারছিলেন না ৷ অবশ্য এর আগেও শুটিং-এর সময় অনেক বেশি গুরুতর আঘাত কাবু করেছিল তাঁকে (Amitabh injured on sets of Coolie)৷ আজ থেকে প্রায় 40 বছর আগে ৷ কুলির শুটিং-এর সময় ৷ ডাক্তাররা 'ক্লিনিক্যালি ডেড' বলে ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন ৷ সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে গ্রাস ছিনিয়ে নিয়ে নয়া জীবন পান বলিউডের শাহেনশা ৷ ফেরেন স্বমহিমায় (Amitabh Bachchan was declared clinically dead)৷
প্রজেক্ট কে-র শুটিং-এ আহত: প্রজেক্ট কে-এর শুটিং-এ আহত হওয়ার ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিজের ব্লগে অমিতাভ লিখেছেন, "হায়দরাবাদে প্রজেক্ট কে-এর শুটিংয়ে একটি অ্যাকশন শটের সময় আমি আহত হয়েছি ৷ পাঁজরের কার্টিলেজ ভেঙে গিয়েছে এবং ডান পাঁজরে পেশি ছিঁড়ে গিয়েছে ৷ শুটিং বাতিল করা হয়েছে ৷ হায়দরাবাদের এআইজি হাসপাতালে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেছি ও সিটি স্ক্যান করেছি ৷ তারপর বাড়ি ফিরে এসেছি ৷"
'শ্বাস নিতে পারছিলাম না': চোট পাওয়ার পর কতটা যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তাও জানান বিগ বি ৷ বলেন, নড়াচড়া করতে, শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল ৷ যন্ত্রণা কাটাতে তাঁকে ব্যথার ওষুধ পর্যন্ত খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি ৷ সেরে না ওঠা পর্যন্ত তাঁর সব কাজ বন্ধ (Amitabh Bachchan injured in Project K Shooting)৷
মারাত্মক আঘাত পান 1982 সালে: চরিত্রের প্রয়োজনে কখনও কোনও আপোষ করেননি ৷ সব রকম এক্সপেরিমেন্ট করেছেন ৷ কেরিয়ারের শুরুতে অ্যাংরি ইয়ং ম্যান হিসেবে পরিচিত অমিতাভের বহু ফিল্মে এসেছে অ্যাকশনের দৃশ্য ৷ সে রকমই একটি ছবি ছিল কুলি ৷ সেই ছবির শুটিংয়ের সময়ই প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়েছিল অমিতাভের ৷ 1982 সালে মনমোহন দেশাই পরিচালিত ছবির শুটিংয়ের সময় মারাত্মক আঘাত পান তিনি ।
মুহূর্তের ভুলে সেটেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন: কুলির জন্য বেঙ্গালুরুতে পুনিত ইসারের সঙ্গে একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করছিলেন অমিতাভ বচ্চন ৷ সেই সময়ই তিনি সাংঘাতিক চোট পান । গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্তে ভুল করে লাফ দিয়ে ফেলেন তিনি ৷ আর সেকেন্ডের ভগ্নাংশের এদিক ওদিক হতেই তাঁর সহ-অভিনেতার জোরালো ঘুষি গিয়ে পড়ে তাঁর অন্ত্রের উপর ৷ মুহূর্তে জ্ঞান হারান বচ্চন সাহাব ৷ বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে যায় সেই খবর ৷ হইচই পড়ে যায় চারিদিকে ৷ জরুরি অপারেশনের জন্য অমিতাভকে সেন্ট ফিলোমেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তবে পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে পড়ায় তাঁকে মুম্বইতে স্থানান্তরিত করা হয় ।