পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / entertainment

Supratim Bhol: 'বাবার বড় স্বপ্ন ছিল জাতীয় পুরস্কার পাব', বললেন 'অভিযাত্রিক'-এর সিনেমাটোগ্রাফার সুপ্রতীম ভোল

'অভিযাত্রিক' ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতে নিলেন সুপ্রতীম ভোল (Supratim Bhol on Winning the National Award)।

Supratim Bhol
'বাবার বড় স্বপ্ন ছিল জাতীয় পুরস্কার পাব', বললেন অভিযাত্রিক'-এর সিনেমাটোগ্রাফার সুপ্রতীম ভোল

By

Published : Jul 22, 2022, 8:56 PM IST

কলকাতা, 22 জুলাই: 'অভিযাত্রিক' ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতে নিলেন সুপ্রতীম ভোল । পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর এই ছবি এবার বাজিমাত করেছে দু'টি বিভাগে বাজিমাত করেছে ৷ একদিকে যেমন সেরা বাংলা ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছে এই ছবি ৷ তেমনই ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন সুপ্রতীম (Supratim Bhol on Winning the National Award)।

পুরস্কার জয়ের অনুভূতি কেমন ? সুপ্রতীম বলেন, "বাবার বড় স্বপ্ন ছিল আমি জাতীয় পুরস্কার পাব । অ্যাওয়ার্ডটা পেয়ে আমি যতটা না খুশি, হয়েছি তার থেকে অনেক বেশি খুশি হয়েছেন আমার বাবা । প্রত্যেক বছর ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা হলে বাবা বলত, তুই কবে পাবি ? আমি তো আমার প্রথম ছবি 'সহজ পাঠের গপ্পো' থেকে একইরকমের খাটুনি খেটে চলেছি । এমন না যে, আমি অভিযাত্রিক এর জন্যই বেশি খেটেছি। তবে এটা অনেক বড় একটা স্কেলের ছবি । আমি সব ছবিতেই সমান পরিশ্রম দিই ।"

তিনি আরও বলেন, "আমার দু'টো ছবি এখনও অবধি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে । একটা তো সেরা বাংলা সিনেমা 'অভিযাত্রিক', অন্যটা বেস্ট হরিয়ানবি ফিল্ম 'দাদা লক্ষ্মী'। যদিও এটা এখনও রিলিজ হয়নি। ছবিটা হরিয়ানার একজন লোক শিল্পীর বায়োপিক। একশো বছরের পুরনো গল্প নিয়ে এই ছবি। লোকেশন খুঁজে বের করতেই মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল আমাদের । যশপাল শর্মা অর্থাৎ 'লগান'-এ যে ভিলেন হয়েছিলেন তিনি অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। একই বছরে দু'টো ছবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে এটা আমার কাছে নিঃসন্দেহে বড় পাওয়া । আমি নিজে পুরস্কার পেয়েছি সেটা যেমন আনন্দের তেমনই ডিরেক্টর, প্রোডিউসাররাও একটা জায়গায় পোঁছতে পেরেছেন সেটা আরও বেশি ভাল লাগার আমার কাছে ।"

'অভিযাত্রিক' ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতে নিলেন সুপ্রতীম ভোল

আরও পড়ুন:জাতীয় পুরস্কার পেল 'অভিযাত্রিক', উচ্ছ্বসিত দিতিপ্রিয়া শুভ্রজিৎ

সুপ্রতীমের কথায়, "অর্জুনের অভিনয় আমাকে আরও বেশি ভাল করে শ্যুট করতে সাহায্য করেছে । একটা ফ্রেম শ্যুট করতে করতে ভাবতাম পরেরটা কী শ্যুট করব! পরেরটা তো একইরকমের ভাল শট দেবে অর্জুন। সব থেকে বড় কথা এখনও অবধি যারা ছবিটা দেখেছে কেউ বলেনি যে অর্জুনকে চরিত্রটাতে মানায়নি । যেখানে এই চরিত্রে এখনও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মানুষের মনে ও মননে বসে আছে সেখানে অর্জুন নিজের জায়গা করে নিয়েছে নিজের অভিনয়চাতুর্যে । অর্জুন 'ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড'ও পেয়েছে এর জন্য । গৌতম বসুর আর্ট ডিরেকশন না-হলে আমার ফ্রেম গুলো এত ভাল দেখতে হত না । আমার ভাল লাগার দিন যতটা ততটাই সবার ।"

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details