পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / entertainment

Chaitali Lahiri : 'বরটা বড়ই বোকা, কেন নড়ল মাথার পোকা ?' কবিতা লিখলেন রূপঙ্কর-জায়া

কেকে'র দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পর রূপঙ্কর বাগচি এবং তাঁর পরিবারকে যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এবার সেই চিত্রই কবিতার ভাষায় তুলে ধরলেন রূপঙ্কর পত্নী চৈতালী (Chaitali Lahiri Explains Their Situation After The KK Issue)৷

Chaitali Lahiri on Rupankar
কেকে ইস্যুর পর স্বামীকে বাঁচাতে 'স্ত্রী ও যশোদা মা' দুইই হতে হয়েছে, লিখলেন চৈতালী

By

Published : Jun 4, 2022, 10:50 AM IST

কলকাতা, 4 জুন : কেকে'র কলকাতা সফর এবং দূর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর সঙ্গে ওতোপ্রোত হয়ে জড়িয়ে পড়েছিল আরেকটি নাম তিনি সঙ্গীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচি ৷ সম্প্রতি কেকে'র কলকাতার অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো দেখার পর তিনি মন্তব্য় করেছিলেন, "কলকাতার শিল্পীরা কেকে'র থেকে অনেক ভাল গান করেন । তবু বাংলার মানুষ তাঁদের পাত্তা দেয় না । তাঁরা সেই মুম্বই নিয়েই মেতে থাকে । কিন্তু আর কতদিন ? এবার তো বাংলার পাশে থাকতে হবে । কে এই কেকে ? হু ইজ হি ?" তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক ৷ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অনুষ্ঠানের পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কেকে ৷ ফলত তাঁর অনুরাগীরা আরও বেশি ট্রোল করা শুরু করেন রূপঙ্কর বাগচিকে নিয়ে ৷ সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন রূপঙ্কর ৷ আর এবার তাঁর স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ী লিখলেন ঠিক কতখানি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে এই কটা দিন কাটিয়েছেন তাঁরা (Chaitali Lahiri Explains Their Situation After The KK Issue)৷

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে সম্প্রতি একটি দীর্ঘ কবিতা প্রকাশ করেছেন চৈতালী যেখানে উঠে এসেছে এই ট্রোলিংয়ের পর তাঁদের মানসিক যন্ত্রণার ছবি ৷ কারণ শুধু সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা মিম, বিতর্ক নয় এই কয়েকদিন হুমকি ফোনও করা হয়েছে রূপঙ্করের বাড়িতে ৷ যার জেরে পুলিশের দ্বারস্থও হতে হয়েছে তাঁদের ৷ তাই তিনি লেখেন, "ধরফরিয়ে বুকটা পোড়ে, বরটা বড়ই বোকা / দুনিয়াদারিতে নেহাৎ কাঁচা শিল্প যাপনে মগ্ন থাকা । /এমন কথা কি বলতে হয়, তুমি কি সমাজের হোতা?/কে দিয়েছে মাথার দিব্যি? কেন নড়ল মাথার পোকা?/নিজেকে নিয়ে বাঁচো, নিজের আখের গোছাও ওগো--/মেয়েটার ভবিষ্যৎ আছে, আমার কথাটাও ভাবো ।"

এর আগেই তাঁদের যন্ত্রণার কথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি, "স্যোশাল মিডিয়া তোমার দেওয়া আ্যড্রনালিন রাশ, /ছোট্ট পরিবারের জীবনে নামিয়ে এনেছে ত্রাস ।/দরকার একটা স্মার্টফোন আর মনে একরাশ ঘৃণা,/ জীবনের যত না পাওয়ার যন্ত্রণা আর কিছু বাহানা ।"

রূপঙ্করের মন্তব্যে দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল টলিউডও এমনকী রূপঙ্কর যাঁদের গানের প্রশংসা করেছিলেন এই বিতর্কিত ভিডিয়োতে তাঁদের অনেকেও রূপঙ্করের সমর্থনে এগিয়ে আসেননি ৷ তাই চৈতালী সেকথা তুলে ধরেন তাঁর কবিতাতেও ৷ তাঁর কথায়, "ভালই হল চিনতে পেল বন্ধু এবং বাসা / সময় চেনায় কোনটা সত্যি আর কোনটা মরীচিকা", এরপর সমালোচক তথা ট্রোলারদেরও কথাও তুলে ধরেছেন রূপঙ্কর পত্নী ৷ তিনি লেখেন, "তোমাদেরও ঘরে জানি আছে এমন বোন ও মা/কেমন হবে তাদের জন্য এমন সমালোচনা?/হুমকি ফোন আর অশ্লীলতা ভাষায় ও ভঙ্গীতে/ বিনিদ্র রাত দুমুঠো ভাত মুখেও না রোচে ।"

আরও পড়ুন : গুছিয়ে বলতে না পারাতেই বিতর্ক, ব্যাখ্যা রূপঙ্করের

তাঁর কবিতার শেষে তিনি এও লেখেন যে এই ক'দিনে স্ত্রী এবং যশোদা মা দুই ভূমিকাই পালন করতে হয়েছে তাঁকে ৷ অর্থাৎ একদিকে স্বামীকে ঢাল হয়ে বাঁচাতে হয়েছে তেমনই তাঁকে সামালও দিতে হয়েছে সমস্ত আবেগ দিয়ে ৷ কবিতার শেষে তাই তিনি লেখেন,"সত্যিকারের মানুষ কিছু ঘিরে ছিলেন পাশ/তাদেরও নানান হেনস্তায় কেটেছে দিনরাত ।/তাদের বলি তোমাদের আমায় লড়াকু বলেই জানা/এক্ষেত্রে ভুমিকা আমার স্ত্রী ও যশোদা মা ।"

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details