কলকাতা, 7 অগস্ট: বাঙালির আবেগে নাড়া দিয়েই শরদিন্দুর ব্য়োমকেশে রবি ঠাকুরের গান । বাঙালির মনে কবিগুরু চিরন্তন । সেই আবেগ বুঝেই দেবের এই উদ্যোগ । এবার মুক্তি পেল ছবির দ্বিতীয় গান 'ও যে মানে না মানা' ৷ বাঙালির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের গান ৷ তাঁর গানকে বারবার রূপোলি পর্দায় ব্যবহার করেছেন তরুণ মজুমদার, ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো পরিচালক ৷ এবার একই রাস্তায় হাঁটলেন বিরসাও ৷ শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ কাহিনিতে যুক্ত হল রবি ঠাকুরের গান 'ও যে মানে না মানা' ৷ সোমবার মুক্তি পেয়েছে এই রবীন্দ্রসঙ্গীতটি ৷
এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী ৷ সঙ্গীত প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন সুদীপ্ত পাল এবং দীপতর্ক বোস ৷ এখানে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ব্যোমকেশ সত্যবতীর মিষ্টি প্রেমের এক দৃশ্য ৷ গানের এই ভিডিয়োটিতে দেখা যায় গর্ভবতী সত্যবতী ৷ তাকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বেড়িয়েছেন ব্যোমকেশ ৷ যিনি রহস্য সমাধানে দূরে যাবেন ৷ তিনি চান সত্যবতী এই অবস্থায় তাঁর সঙ্গে যেন না যান ৷ কিন্তু গানের এই পর্বে এসে সত্যবতী বলে ওঠে সেও ব্যোমকেশের সঙ্গেই যাবে ৷ তাকে একা ছেড়ে সে থাকবে না ৷
এরপর পর্দায় দেখা যায় একটি গাড়ি ছুটে চলেছে ৷ আর ব্যাকগ্রাউন্ডে লগ্নজিতার কণ্ঠে শোনা যায় 'ও যে মানে না মানা' ৷ বলাই বাহুল্য গানটির জন্য় খুব মিষ্টি একটি মুহূর্ত সৃষ্টি করেছেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত ৷ এই ছবিতে ব্যোমকেশকে শুধু একজন রহস্য সন্ধানী নয় পাওয়া যাবে একজন আদর্শ স্বামী রূপেও ৷ যে স্ত্রীর কথা মাথায় রেখে ধূমপান পর্যন্ত ত্যাগ করেছেন ৷ অন্যদিকে আবার তাঁকে দেখা যাবে অজিতের সঙ্গে মিলে ক্ষুরধার বুদ্ধিতে শান দিতেও ৷