মুম্বই, 30 মার্চ: বলিউডের অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী (Nawazuddin Siddiqui) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের 3 এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। আদালত নওয়াজ ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, দুই সন্তান এবং ভাই শামসুদ্দিনকে আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের মামলা উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছে (Bombay HC on Nawazuddin Case)।
তাঁর বিবাহ বিচ্ছিন্ন স্ত্রী অঞ্জনা পান্ডে ওরফে আলিয়া এবং ভাই শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে 100 কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী । পিটিশনে নওয়াজউদ্দিন দাবি করেছেন যে, এই সম্পর্কে কোনও বিষয়বস্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা উচিত নয় । নওয়াজউদ্দিন ও তাঁর বিবাহ বিচ্ছিন্ন স্ত্রী অঞ্জনা পান্ডের মধ্যে বিবাদ চলছে । এ ছাড়াও নওয়াজউদ্দিনের ভাই শামসুদ্দিনও জড়িয়ে পড়েছেন সেই বিবাদে ৷ আলিয়া ও শামসুদ্দিন তাঁকে হয়রান করেছেন এবং তাঁর মানহানি করেছেন - এই অভিযোগে ক্ষতিপূরণ হিসেবে 100 কোটি টাকা দাবি করেছেন অভিনেতা ।
আলিয়া ও শামসুদ্দিন ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়ায় নওয়াজউদ্দিন সম্পর্কে বিভিন্ন লেখা পোস্ট করছেন এবং সেই লেখাগুলি তাঁর পক্ষে মানহানিকর বলে দাবি করেছেন নওয়াজ । সেই কারণেই ভাই ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টগুলি যাতে মুছে ফেলা হয় এবং এই কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করা হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি ৷
নওয়াজের দাবি, তাঁর ভাই এবং স্ত্রী জনসাধারণের কাছে তাঁর সম্পর্কে মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনও লেনদেন থেকেও ভাই ও স্ত্রী যাতে বিরত থাকেন, সেই দাবিও জানিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন ৷ কারণ নইলে নওয়াজউদ্দিনের সম্পদের উপর আর্থিক দিক থেকে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি । তাই তাঁর আর্জি, আদালতের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত ।
আরও পড়ুন:প্রাক্তন স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে 100 কোটির মানহানির মামলা নওয়াজের
নওয়াজউদ্দিন পিটিশনে আরও বলেছেন যে, প্রায় 15 বছর আগে, নওয়াজউদ্দিন আয়কর প্রদান সম্পর্কিত লেনদেন বা জিএসটি কর পরিশোধের মতো বিভিন্ন লেনদেনের জন্য তাঁর ভাইকে ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড দিয়েছিলেন । এছাড়াও অনেক আর্থিক লেনদেনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ভাই শামসুদ্দিনকে । তবে নওয়াজউদ্দিন এই আবেদনে দাবি করেছেন, তাঁর ভাই তাঁকে প্রতারণা করেছেন । তাছাড়া ছোট ভাই শামসুদ্দিন তাঁর বিচ্ছিন্ন স্ত্রীকেও নওয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতে রাজি করান বলে দাবি অভিনেতার ।
নওয়াজউদ্দিন তাঁর দাবির সমর্থনে বেশ কিছু তথ্য দাখিল করেছেন ৷ ভাইয়ের আচরণ অবিশ্বাস্য বলে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে 2020 সালে ম্যানেজার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন । নওয়াজউদ্দিন তখন রাজস্ব বিভাগ, জিএসটি বিভাগ এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগ থেকে 37 কোটি টাকা বকেয়ার জন্য আইনি নোটিশ পেয়েছিলেন । তিনি আরও বলেন, শামসুদ্দিনের কারণেই এই নোটিশ পেয়েছিলেন তিনি । স্ত্রী ও ভাই পালটা অভিযুক্ত করেছেন নওয়াজকে । বম্বে হাইকোর্ট 3 এপ্রিল এই মামলা শুনবে । আজকের শুনানিতে নওয়াজউদ্দিনের পরিবারের সব সদস্যকে বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরের বেঞ্চে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।