হায়দরাবাদ, 31 জুলাই: 'গিলি গিলি গে' বলে যিনি তাজমহল ও ইন্দোর-অমৃতসর এক্সপ্রেস অদৃশ্য করেছিলেন ৷ ভ্যানিস করে দিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ৷ সেই পিসি সরকার জুনিয়র অর্থাৎ প্রদীপ চন্দ্র সরকারের জন্মদিন 31 জুলাই ৷ তাঁর জীবনের এই বিশেষ দিনটিকে আরও বিশেষ করে তোলেন তাঁর তিন কন্যা মানেকা, মৌবনি এবং মুমতাজ। কীভাবে ? তার খোঁজ নিতে মুমতাজ সরকারের সঙ্গে কথা বলে ইটিভি ভারত। কারণ প্রতি বছর বাবার জন্মদিনের কেকটা যে তিনিই বানান।
মুমতাজ বলেন, "আমাদের বাবা আসলে শুধু আমাদের নন, উনি সকলের। এদিন সবার সঙ্গে বাবাকে ভাগ করে নিতে হয় আমাদের। ওনাকে সবাই ভালোবাসেন। তাই এই দিনে বাবাকে শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় বহু মানুষ ভরিয়ে তোলেন। বিকেলে বাবা আমার বানানো কেক কাটেন।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, কোভিডের আগে পর্যন্ত প্রায় সব জন্মদিনেই শো থাকত জুনিয়র পিসি সরকারের। শো-এর শেষে ইন্দ্রজালের তরফে একটা বড় কেক এনে কাটা হত মঞ্চে। আর সেই কেক কাটিং পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারতেন দর্শকেরাও। দর্শকদের মধ্যেও অনেকে নিয়ে আসতেন কেক, উপহার।
মুমতাজ বলেন, "আমাদের ছোটবেলায় সকালেও কেক আনা হত। বাবা তাঁর নিজের জন্মদিনটা আমাদের জন্মদিন করে তুলতেন। এরপর যখন আমরা বড় হলাম তখন থেকে আমরা আমাদের সাধ্যমতো বাবার পছন্দের জিনিসটা এনে দিতে শুরু করলাম। আমাদের দেওয়া একটা কাগজের টুকরোও বাবার কাছে খুব দামি। আর আমি তো বাবার জন্মদিন কিংবা অন্য কারোর জন্মদিন, অ্যানিভার্সারিতে কেক বানাই। আমি যে কেক বানাই বাবা সেটাই কাটেন। অনেক লোকজন আসেন এদিন আমাদের বাড়িতে।"