বাঁকুড়া, 17 এপ্রিল : তৃণমূলের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গেল বাঁকুড়া জেলাশাসকের দপ্তরে। গতকাল থেকে বাঁকুড়া জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়। মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়। এমন কী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিন থেকে চারবার চেকিং-এর পর ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। একই রকম ভাবে আজ সকালে CPI(M)-এর তরফে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অমিয় পাত্র মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁকেও কড়া চেকিং-এর সধ্যে দিয়ে জেতে হয়।
এদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর CPI(M)-এর পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, যেভাবে তাঁদের তল্লাশি করা হয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে এলে এই সাহস পাবেন না জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা বিরোধীদের আশঙ্কা সত্যি করেই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়নের জমা দেওয়ার সময় দেখা গেল বাকি দিনের থেকে চিত্র উলটো। জেলাশাসকের দপ্তরে প্রবেশ করার আগে 100 মিটার পর্যন্ত 144 ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের মিছিল পৌঁছাল একেবারে জেলাশাসকের দপ্তরের মূল গেট পর্যন্ত।
আজ বাঁকুড়া হিন্দু হাইস্কুলের মাঠ থেকে একটি রোড শো শুরু করা হয় তৃণমূলের তরফে। সেই রোড শোতে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শ্যামল সাঁতরার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূলের মিছিল জেলাশাসকের দপ্তরে পৌঁছালে পুলিশ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব সুরক্ষাবাহিনীর রোষে পড়ে সংবাদমাধ্যম। একজন প্রার্থীর সঙ্গে চারজন প্রবেশের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক তৃণমূল নেতা ঢুকে যান জেলাশাসকের দপ্তরে। সেখানে জেলাশাসকের দপ্তরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মনোনয়ন জমা নেওয়া হয় এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকের দপ্তরে শ্যামল সাঁতরার মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। মনোনয়ন জমা দেওয়াকালীন জেলাশাসকের দপ্তরে যে সমস্ত কর্মী কর্তব্যরত ছিলেন তাঁদেরকেও দপ্তরে যেতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। বেশ কয়েকজন কর্মীকে জেলাশাসকের দপ্তরের সিঁড়িতে আটকে রাখা হয় দীর্ঘক্ষণ।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শেষ হলে বিরোধীদের আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সকল মুষ্টিমেয় আবর্জনা এখানে জিতেছিল আজ তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। বারবার জঙ্গলমহল অশান্ত করতে এরা জিতেছে।" পাশাপাশি মনোনয়ন জমা নিয়ে বলেন, "আজ অষ্টমী। 12 তারিখ এখানে ভোট হবে। 23 তারিখ বিসর্জন।"