কেতুগ্রাম, 1 মে : বুথের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে "দাদারা" । কেউ ভোট দিতে এলে তাঁকে EVM পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছে । কোথায় ভোট দিতে হবে তা আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে । আর বয়স একটু বেশি হলে তো কথাই নেই । কষ্ট লাঘব করতে রীতিমতো হাত ধরে ভোটটাও দিয়ে দিচ্ছে । বুথের বাইরে হাসিমুখে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান । নির্বিকার ভোটকর্মীরা । আর এই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত।
লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় বোলপুরে ভোট ছিল । পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত হলেও কেতুগ্রাম বিধানসভা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত । সেখানের খাঁজিকিউ এ. আজিম উচ্চবিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ হয় । প্রাথমিকভাবে স্কুলটির 104 ও 107 নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । সেই বুথের প্রিজ়াইডিং অফিসারকে সরানোও হয় । যদিও জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, ছাপ্পা ভোট নয়, ভোটদানের গোপনীয়তা ভঙ্গের জন্য প্রিজ়াইডিং অফিসারকে সরানো হয়েছে ।
ভোটের পর সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় । তাতে দেখা যায়, এক মহিলা ভোটদান কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন । খানিকটা ইস্ততত বোধ করছেন । তাঁর 'কষ্ট' দেখে এগিয়ে আসেন সাদা জামা ও কালো প্যান্ট পরিহিত এক ব্যক্তি । মহিলার হয়ে ভোটটা দিয়ে দিলেন তিনি । কাজ 'হাসিল' করেই দরজার পাশে এগিয়ে গেলেন । আরও একজন ভোটার এলেন । মধ্য বয়স্ক এক পুরুষ । তাঁকে দেখিয়ে দিলেন কোথায় ভোটটা দিতে হবে । একটু পরে এলেন আরও একজন । গায়ে নীল-সাদা চেক জামা । এক বৃদ্ধাকে ধরে ধরে ভোটদান কক্ষে নিয়ে গেলেন । তারপর বৃদ্ধার হাত ধরে "টার্গেটে" ভোট দিয়ে দিলেন । পরে এক যুবক ভোট দিতে ঢুকলেন । ভোটদানের ঘেরা অংশের উপর দিয়ে জরিপ করে নিলেন 'ঠিক জায়গায়' ভোট পড়ল কি না । শুধু তাই নয়, ভোটটা যে "টার্গেটেই" পড়েছে , তা নিশ্চিত হতে তবেই রেহাই মিলল ভোটারের । এভাবেই "কড়া নজরে" বেশ কিছুক্ষণ ভোটদান চলল ।
নীল-সাদা চেক জামার ভার লাঘব করতে এগিয়ে এলেন আরও একজন । গায়ে কমলা জামা । এক বৃদ্ধাকে নিয়ে গিয়ে ভোটকক্ষে ঢুকিয়ে তাঁর হয়ে ভোট দিয়ে দিলেন । "ঠিকভাবে" কাজ হাসিল হল কি না, সেদিকে তীক্ষ্ম নজর রাখলেন সেই চেক জামা পরিহিত ব্যক্তি । আর বিষয়টি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সামনেই ঘটেছে । কিন্তু, নিরুত্তাপ ছিলেন সেই জওয়ান । আর তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে এত ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে কী হল ?