মালদা, ১৪ এপ্রিল : আজ বরকত গণি খান চৌধুরির প্রয়াণ দিবস। তাই জেলাজুড়ে এই দিনটি পালন করছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। গণি খানকে নিজেদের সম্পদ হিসেবে প্রমাণ করতে এই মুহূর্তে দুই শিবিরই মরিয়া হয়ে উঠেছে। আজ সকালে জেলা কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব হাজির হয়েছিলেন কোতওয়ালির খান চৌধুরি ভবনে। সেই ভবন চত্বরেই গণি খানের সমাধিস্থল। সেখানে যান উত্তর মালদার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম নুর। মৌসম কোতওয়ালি ভবন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বরকত সাহেবের সমাধিস্থলে আসেন আবু হাসেম খান চৌধুরি ও ইশা খান চৌধুরি। তাঁরাও প্রয়াত নেতার সমাধিতে নিজেদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
২০০৬ সালের ১৪ এপ্রিল গণি খান চৌধুরি মারা যান। কিন্তু মৃত্যুর ১৩ বছর পরেও তিনি এই জেলার ভোট রাজনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করছেন। সেই কারণেই রাহুল গান্ধিও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ভোটপ্রচারে এসে গণি-স্মরণ করেন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই জেলায় গণি-নাম জপ করতে হয়।
আজ মৌসুম নুরের সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল সরকার, ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, আবু নাসের খান চৌধুরি, শেহনাজ কাদেরি, অরুণ তরফদার সহ অন্যরা। সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর মৌসম বলেন, "আজ বরকত সাহেবের ১৪ তম প্রয়াণ দিবস। প্রতি বছরই এই দিনে তাঁর সমাধিতে আমরা দোয়া করি। আজও আমরা সবাই সেখানে দোয়া করেছি। প্রতিদিন আমরা তাঁকে স্মরণ করলেও আজকের দিনটা একটু অন্যরকম। উনি যে আমাদের মধ্যে নেই তা কখনও মনে হয় না। তাঁর কাজের জন্য মানুষ সবসময় তাঁকে মনে রাখবে। আজ আমাদের পরিবারের সঙ্গে তাঁর কাছের মানুষরাও বরকত সাহেবের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। যদিও ভোটের মুখে আজ বরকত সাহেবকে শ্রদ্ধা জানানোটা বিশেষ কোনও বার্তা বহন করবে বলে আমার মনে হয় না। তবে তাঁর সঙ্গে যাঁরা নিরন্তর কাজ করেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই আজ তৃণমূলে। বরকত সাহেব যখন কাজ করেছেন তখন কংগ্রেস খুব মজবুত ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গে সেই জায়গাটা কংগ্রেসের নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এখন তৃণমূল এই রাজ্যে মজবুত। বরকত সাহেব যেভাবে কাজ করতেন, সেভাবেই নেত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মালদাসহ পশ্চিমবঙ্গের জন্য কাজ করছেন। তাঁরা দুজনেই শ্রদ্ধেয়। দু'জনকেই আমরা সম্মান জানাই। আমি তৃণমূলে এসেছি। তাঁর মতোই যেন মানুষের কাজ করতে পারি, আজ সেই আশীর্বাদই বরকত সাহেবের কাছে চাইলাম।"