কলকাতা, 17 মার্চ :ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় এলে রাজ্যের প্রত্য়েকটি পরিবারকেই নিশ্চিত ন্যূনতম আয়ের আওতায় আনা হবে ৷ দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের সময়েই নয়া প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ৷ বুধবার এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্য়ে ফের তৃণমূলের সরকার গঠিত হলে সাধারণ সম্প্রদায়ের (জেনারেল কাস্ট) প্রত্য়েকটি পরিবারকে বছরে 6 হাজার টাকা নিশ্চিত ন্য়ূনতম রোজগার হিসাবে দেওয়া হবে ৷ অন্যান্য সম্প্রদায়ের (তপশিলি জাতি ও উপজাতি-সহ পিছিয়ে পড়া সমস্ত সম্প্রদায়) প্রত্য়েকটি পরিবার পাবে বছরে 12 হাজার টাকা ৷
নন্দীগ্রামে পায়ে চোট পাওয়ার পর হুইল চেয়ারেই গোটা রাজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ চাকাওয়ালা চেয়ারে বসেই সারছেন প্রচার ৷ তাঁর এই উদ্যোগ নজর কেড়েছে গোটা ভারতের ৷ প্রশংসা করুন বা সমালোচনা, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন ‘বাংলার মেয়ে’ই ৷ এমন একটা অবস্থায় দাঁড়িয়ে কি মাস্টার স্ট্রোক দিলেন মমতা ? রাজ্য়ের প্রত্য়েক পরিবারের জন্য নিশ্চিত ন্য়ূনতম আয় ঘোষণা করে জয়ের পথ আরও প্রশস্ত করলেন তিনি ? ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া ৷ মমতার নিজের দাবি, তাঁর সরকার বাংলার মানুষের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বন্দোবস্ত করেছে ৷ কিন্তু হাতে টাকা না থাকলে যে কোনও পরিবারকেই সমস্য়ায় পড়তে হয় ৷ সেই কথা মাথায় রেখেই মমতার নয়া দাওয়াই নিশ্চিত ন্য়ূনতম রোজগার ৷
তবে ভোটের বাজারে এমন প্রতিশ্রুতি নতুন নয় ৷ উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রায় এমনই কথা বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ৷ তিনি কথা দিয়েছিলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ দিল্লির ক্ষমতায় ফিরলে গরিব পরিবারগুলিকে বছরে 72 হাজার টাকা ন্য়ূনতম রোজগারের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে ৷ তবে রাহুলের এই প্রয়াসে চিঁড়ে যে ভেজেনি, ভোটের ফলাফলই তার প্রমাণ ৷