কৃষ্ণনগর, 10 মার্চ :রক্তক্ষরণ চলছেই ৷ দলনেত্রীর মনোনয়ন পেশের দিনও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক অব্যাহত ৷ সূত্রের খবর, বুধবারই বিজেপিতে যোগদান করছেন তেহট্টের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশংকর দত্ত ও তাঁর ছেলে অয়ন দত্ত ৷ অয়ন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি। বিজেপিতে যোগ দিতে এদিনই কলকাতা রওনা দেয় বাবা-ছেলে ৷ বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ে নতুন দলে যোগদান করবেন তাঁরা ৷
তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষিত হতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে দলের অন্দরে ৷ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বহু বিদায়ী বিধায়ক ও প্রবীণ নেতা ৷ নদিয়া জেলাও তার ব্য়তিক্রম নয় ৷ জেলার বাকি তৃণমূল বিধায়করা দলের টিকিট পেলেও শিকে ছেঁড়েনি গৌরীশংকর দত্ত ও রত্না ঘোষ করের কপালে ৷ ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ দুই নেতা-নেত্রী ৷ সূত্রের খবর, তৃণমূলের টিকিট না পেয়েই দলবদলের সিদ্ধান্ত নেন গৌরীশংকর ৷ সঙ্গে নেন পরবর্তী প্রজন্মকেও ৷ অন্যদিকে, প্রার্থী হতে না পেরে রাজ্য় নেতৃত্বকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রত্নাও ৷
নদিয়া জেলায় মোট বিধানসভা আসন রয়েছে 17 টি ৷ 2016 সালের নির্বাচনে এর মধ্যে 13টিই যায় তৃণমূলের দখলে ৷ বাকি চারটিতে জেতেন জোট প্রার্থীরা ৷ চারটির মধ্যে সিপিআইএম জয় পায় একটিতে আর তিনটিতে জয় লাভ করেন কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো প্রতিনিধিরা ৷ কিন্তু ভোট মিটতেই এই তিনজন হাত ছেড়ে জোড়া ফুল ধরেন ৷ ফলে সমীকরণ বদলে হয় 16 : 1 ৷ পরবর্তীতে করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র প্রার্থী হন লোকসভায় ৷ কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হন তিনি ৷ অন্যদিকে, দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস ৷ 2019 সালে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে উপনির্বাচন হয় নদিয়ার এই দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রেও ৷ করিমপুর তৃণমূলের দখলে থাকলেও কৃষ্ণগঞ্জ তাদের থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি ৷ নতুন বিধায়ক নির্বাচিত হন আশিস বিশ্বাস ৷ সেক্ষেত্রে জেলার নতুন সমীকরণ হয় 15 : 1 : 1 ৷