কলকাতা, 1 এপ্রিল : চলতি বিধানসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি দল ৷ প্রতিনিধি দলের সদস্য রবীন দেবের প্রশ্ন, বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে 144 ধারা কার্যকর থাকা সত্ত্বেও এত মানুষের জমায়েত ও অশান্তি হল কীভাবে ?
এদিন নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রবীন বলেন, ‘‘জোটের প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ফোনে আমাদের জানিয়েছেন, একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যদিকে বিজেপি, এই দুই দলের জমায়েতের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে ঢুকতেই পারছিলেন না ৷ তবুও নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷’’
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও কাঠগড়ায় তোলেন রবীন ৷ তাঁর অভিযোগ, আমাদের অনেক আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ৷ বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ৷ পর্যবেক্ষরা থাকবেন ৷ কিন্তু কোথায় কী হল?
বাংলার ভোটপ্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের এই প্রবীণ নেতা ৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোটের দিনগুলিতেই প্রধানমন্ত্রী পাশের কেন্দ্রগুলিতে এসে বক্তব্য রাখছেন ৷ তাঁর প্রচার নির্ঘণ্ট এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ভোটের দিনগুলিতেই তিনি এখানে আসতে পারেন ৷’’
আরও পড়ুন :রায়গঞ্জের বাজারে প্রচারে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত
রবীনের প্রশ্ন, ‘‘বহুবার বলা সত্ত্বেও কেন দু’টি কেন্দ্রের মাঝের সীমানা সিল করা হল না ?’’ যদিও একই ইশুতে তিনি বলেন, দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের সীমানা সিল করলে নানা সমস্যা হতে পারে ৷ কিন্তু এদিন কেশপুর, ডেবরা, ঘাটাল ও চন্দ্রকোণায় যেভাবে ভোট হয়েছে, তাতে নাখুশ সংযুক্ত মোর্চা ৷ তাদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক এদিন কার্যত তৃণমূলের হয়েই কাজ করেছেন ৷ এর প্রেক্ষিতে ওই পুলিশ আধিকারিকের বদলিরও দাবি করেন সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷