আমডাঙা, 15 এপ্রিল : ভোটের মুখে আইএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেসের দফায় দফায় সংঘর্ষ ৷ উত্তাল উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা ৷ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের 12 থেকে 14 জন ৷ আহতদের মধ্যে আট থেকে 10 জনই আইএসএফ সদস্য ৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় ৷
আইএসএফ নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হয় তাদের কর্মীদের উপর ৷ সশস্ত্র হামলায় কারোও মাথা ফেটে যায়, আবার কারও ভেঙে যায় হাত ৷ যদিও সংঘর্ষের দায় পাল্টা আইএসএফের উপরেই চাপিয়েছে শাসকদল ৷ পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
আগামী 22 এপ্রিল আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ ৷ তার আগেই ভোটের উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে এই এলাকায় ৷ কখনও রাজনৈতিক সংঘর্ষের অভিযোগ, আবার কখনও আইএসএফ ও তৃণমূলের ব্যানার,ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ৷ একের পর এক এমন ঘটনায় ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা ৷
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আমডাঙা বিধানসভা অঞ্চলে আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফের সাংগঠনিক শক্তি যথেষ্ট মজবুত ৷ এই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রার্থী হয়েছে তাদের দলেরই প্রতিনিধি ৷ অন্যদিকে, ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলও এখানে সম্মুখ সমরে ৷ ফলে বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা ৷ আর তা ঘিরেই কাজিয়ায় জড়াচ্ছেন আইএসএফ এবং তৃণমূলের নেতারা ৷
পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে আমডাঙা থানার কামদেবপুর হাটে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ পাল্টা আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও ৷ যদিও ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাত থেকে ৷ স্থানীয় একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঝামেলা শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ৷ সেই সময় পুলিশের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটে গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান আইএসএফ ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ সংঘর্ষ চলাকালীন বেশ কিছু বাইকও ভাঙচুর করা হয় ৷ পরে পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
আরও পড়ুন :বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত বর্ধমান
এই বিষয়ে আক্রান্ত নুরুল হুদা বলেন, ‘‘পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই আমডাঙায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে শাসকদল ৷ এদিনের সশস্ত্র হামলার ঘটনাতেই তা স্পষ্ট ৷ মারধর তো করা হয়েইছে, তার সঙ্গে লুঠপাট করা হয়েছে ব্যবসার টাকা ৷ আমরা চাই পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিক এই বিষয়ে ৷’’
যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা আইএসএফের হাতেই দলের কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শাসকদলের নেতারা ৷
এদিকে, এদিন দুপুরে আমডাঙা থানায় দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ৷ পুলিশ দু’টি অভিযোগই খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ৷