রায়দিঘি ও কুলপি, 3 এপ্রিল : বাম, বিজেপি বা কংগ্রেস ৷ সকলেরই একযোগে অভিযোগ, আমফানের ত্রাণবিলিতে লাগামছাড়া দুর্নীতি হয়েছে ৷ বিরোধীদের দাবি, আমফানের পর দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ ত্রিপল পর্যন্ত চুরি করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ৷ দুর্গতদের ত্রাণের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা ৷ যদিও বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ অথচ শনিবারের ভোট প্রচারে কিছুটা হলেও উল্টো সুর শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায় ৷ তাঁর বার্তা, আমফানের ত্রাণবণ্টন নিয়ে কারও যদি কোনও অভাব, অভিযোগ থেকেও থাকে, তাহলে আগামী দিনে তিনি তা দূর করে দেবেন ৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি প্রকারান্তরে আমফানের ত্রাণবণ্টনে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিলেন মমতা ?
শনিবার দক্ষিণ 24 পরগনায় তিনটি জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ রায়দিঘি, কুলপি, ক্য়ানিংয়ে ভোট প্রচার সারেন তিনি ৷ সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সময়ে তাঁর মুখে অন্যান্য ইস্য়ুর পাশাপাশি উঠে আসে আমফান প্রসঙ্গ ৷ রায়দিঘিতে সভামঞ্চে মমতা বলেন, ‘‘আমফানের সময় একটা-দু’টো প্রবলেম হয়েছে ৷ কেউ কেউ হয়তো একটা-দু’টো জায়গায় বঞ্চিত হয়েছেন ৷ যদি কেউ বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তাঁদেরটা আমি করে দেব আগেই কথা দিয়েছি ৷ আমি আবারও বলছি, আমি করে দেব ৷’’
স্বাভাবিকভাবেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই কথা অনেক প্রশ্ন খাড়া করছে ৷ ভোটের প্রচার মঞ্চে মমতার এই উক্তি কি পরোক্ষে দুর্নীতির অভিযোগেই সিলমোহর দিল না ? পরে কুলপির সভাতেও প্রায় একই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানে সরাসরি দুর্গতদের বঞ্চিত হওয়ার কথা না বললেও মমতার আশ্বাস, যাঁরা এখনও পর্যন্ত আমফানের ক্ষতিপূরণ পাননি, তাঁদের দাবি যথার্থ হলে অবশ্যই প্রাপ্য় ক্ষতিপূরণ পাবেন ৷