রায়দিঘি ও কুলপি, 3 এপ্রিল :দ্বিতীয় দফায় শেষ হয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রেই মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই পর্ব মেটার পর দু’পক্ষেরই দাবি, জয় হবে তাদেরই ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় রাজ্য়ের আর কোনও কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন না ৷ কারণ, নন্দীগ্রামেই বিপুল ভোট জয়লাভ করবেন তিনি ৷
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, রেকর্ড ব্য়বধানে তৃণমূল নেত্রীকে হারাবেন শুভেন্দু ৷ এমন প্রেক্ষাপটে কাটাছেড়া শুরু হয় দুই শিবিরের আচার আচরণ নিয়ে ৷ সকলেই বোঝার চেষ্টা করছেন, কোন শিবিরের দাবি সঠিক ৷ ধরে নেওয়া হচ্ছে, যে শিবিরে নেতারা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন, জেতার সম্ভাবনা তাঁদেরই বেশি ৷ এমন একটা সময়েই ফের একবার নন্দীগ্রামে বিজেপির ভোট চুরির চেষ্টা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ যদিও তাঁর দাবি, মানুষ গেরুয়া শিবিরের সব অপচেষ্টা রুখে দিয়েছেন ৷
গত 1 এপ্রিল ভোট হয় রাজ্যের 30টি বিধানসভা আসনে ৷ যার মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় ছিল নন্দীগ্রাম ৷ ভোটের দিন দিনভর আত্মবিশ্বাসী থেকেছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ৷ সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেরিয়েছেন তিনি ৷ কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ৷ উল্টোদিকে, মমতা দীর্ঘক্ষণ নিজেকে বন্দি করে রাখেন তাঁর অস্থায়ী ঠিকানায় ৷ পরে তিনি বাইরে বেরোলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন বয়ালের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ৷ বুথের ভিতরে যখন স্বয়ং এলাকার প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী, বাইরে তখন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে পরিস্থিতি ক্রমশা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ পরবর্তীতে এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশনও ৷