কলকাতা, 21 মার্চ : শনিবার মধ্যরাতে কলকাতা পুরনিগমের মুখ্যপ্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফিরহাদ হাকিম ৷ নির্বাচন কমিশন তাঁকে ওই পদ থেকে সরানোর আগেই এই পদক্ষেপ করলেন ফিরহাদ ৷ শনিবার গভীর রাতে পুরকমিশনার খলিল আহমেদের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি ৷
নির্বাচন কমিশনে বিজেপি অভিযোগ জানায়, বিভিন্ন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর যে সদস্যরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে ওইসব পদ থেকে সরানো হোক ৷ সেই অনুসারেই শনিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের পুর প্রশাসকমণ্ডলীর পদগুলি ছাড়তে হবে ৷ আগামী 2 মে (ভোটের ফল ঘোষণার দিন) পর্যন্ত কোনও পুরনিগম বা পুরসভাতেই রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রশাসক পদে থাকতে পারবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে শনিবার গভীর রাতে ফিরহাদ হাকিম তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠান কলকাতা পুরনিগমের কমিশনার খলিল আহমেদের কাছে ৷ রবিবার সকালে কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর আরও দুই সদস্য অতীন ঘোষ ও দেবাশিস কুমারও পদত্যাগ করেন ৷ ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও একইভাবে অন্য পুরসভা ও পুরনিগমগুলির প্রশাসকরাও ইস্তফা দেবেন এদিন ৷
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। একইসঙ্গে, কেএমডিএ-র চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, সেক্টর সিক্সের চেয়ারম্যান, ফুরফুরা শরিফের প্রধানের পদ-সহ সমস্ত কমিটির পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন ফিরহাদ ৷
আরও পড়ুন :প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন ফিরহাদরা, ভাঙছে না পৌরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ড
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কলকাতা পুরনিগমের পদ থেকে আমি ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছি ৷ তাতে আমার কোনও ক্ষোভ নেই ৷ কিন্তু বিজেপি চাইছে বলে ইস্তফা দিতে হবে, এটা নিরপেক্ষতা নয় ৷’’ নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷
ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, বিজেপি নির্বাচন কমিশন-সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে হাতিয়ার করে ভোটে লড়তে চাইছে ৷ যে প্রতিষ্ঠানগুলিকে মানুষ ভরসা করে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকে মানুষ নিরপেক্ষ বলেই জানে ৷ অথচ আজ সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকেই নিজেদের স্বার্থে ব্য়বহার করছে বিজেপি ৷ এই ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নষ্ট করছে বিজেপি। এর ফলে দেশের ক্ষতি হচ্ছে বলেই মত পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়রের ৷