কলকাতা, 17 অক্টোবর : থিমের পুজোয় প্রতিবারই চমক থাকে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের পুজোয় । হোয়াইট হাউস, সোনার দুর্গা বা সোনার শাড়ি - একের পর এক চমক বাড়িয়েছে দর্শনার্থীদের ভিড় । তবে এবারে তাদের ভাবনা একটু অন্যরকম ।
কোরোনা পরিস্থিতির শুরুর দিকে যখন অন্য পুজো উদ্যোক্তরা দোলাচলে ছিলেন, তখন সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার জানিয়ে দিয়েছিল, পুজো হবেই । এবছর কলকাতার অন্যতম বিগ বাজেটের এই পুজো 85 তম বর্ষে পা দেবে । এই পুজো মণ্ডপের প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল । কুমোরটুলি যখন বায়না না পেয়ে হতাশ, এগিয়ে গিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার । প্রখ্যাত প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পালের হাতে বায়না তুলে দিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা ।
এই পুজো কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, “এবছর পুজো ছোটো না বড় হবে সেটা আমরা জানি না । কিন্তু পুজো তো করতেই হবে । সে খুব ছোটো করে হলেও হবে । দুর্গাপুজো না হলে চরম ক্ষতি হয়ে যাবে পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কয়েক হাজার মানুষের । কিন্তু, কুমোরটুলির পাশে তো দাঁড়াতেই পারি ।"
এবারের দুর্গাপুজোর ছবিটা সত্যিই আলাদা । মহালয়ার দিনেও কলকাতার মুখ ঢাকেনি দুর্গাপুজোর হোর্ডিংয়ে । শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই নিয়ে শুরু হয়নি হোর্ডিং তরজা ।
“হেঁটে নয় , নেটে দেখুন" দুর্গাপুজো পুজো উদ্যোক্তারা চান না এবার বিধিনিষেধ ভেঙে দর্শনার্থী আসুক মণ্ডপে । থাকুক সরকারি বিধিনিষেধ । যদিও ঐতিহ্যের এই পুজোয় এবার মণ্ডপ তৈরি হতে চলেছে বদ্রীনাথ ধামের আদলে । প্রতিমা হবে যথারীতি সাবেকি। কিন্তু বাংলার মানুষের মনোরঞ্জন করে চলা পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা চুপচাপ বসেও নেই। তাদের এবারের স্লোগান, “ হেঁটে নয়, নেটে দেখুন।" সেটা কী রকম ? পুজো কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, “ এবছরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন । প্রতিবছর যেভাবে জনপ্লাবনে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার ভেসে যায়, এবার তেমনটা হলে খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকার অপেক্ষায় রয়েছি। তবে মহামারীর এই পরিস্থিতিতে আমরা এবার বেছে নিয়েছি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। আমরা চাই, রাজ্যবাসীকে বাড়িতেই তাদের প্রিয় সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের পুজোর অনুভূতি এনে দিতে। পুজোর পাঁচ দিন লাইভ সম্প্রচার হবে। সন্ধ্যারতি থেকে শুরু করে অষ্টমীর সন্ধিপুজো। মানুষজন বাড়িতে বসেই দেখতে পারবেন সবটা। সঙ্গে থাকবে নানা অনুষ্ঠান। 24 ঘন্টাই ওই পাঁচ দিন মানুষের দরবারে পৌঁছে যাবে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার।"