হায়দরাবাদ (তেলাঙ্গানা), 27 জানুয়ারি : বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছিল অন্য পুরুষের সঙ্গে। সেই রাগে মহিলাদের ত্রাস হয়ে ওঠে হায়দরাবাদের ময়না রামুলু। 18 জন মহিলাকে খুন করে সে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
তেলাঙ্গানার হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে এক যুবতীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। গত 4 জানুয়ারি ভেঙ্কটাম্মা নামে মেয়েটিকে খুন করার পর পেট্রল ঢেলে তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত ময়না রামুলু। 20 দিন ধরে তদন্ত চালানোর পর ওই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলবন্দি ছিল অভিযুক্ত, 2011 সালে এররাগাদা হাসপাতাল থেকে সে পালিয়ে গিয়েছিল। রাচাকোন্দার পুলিশ কমিশনার মহেশ ভাগওয়াত জানিয়েছেন, ''মদের দোকানে যাওয়া মহিলাদের টার্গেট করত অভিযুক্ত। রাচাকোন্দা পুলিশ কমিশনারেট, মেহবুবনগর ও রঙ্গারেড্ডি জেলায় এখনও পর্যন্ত 18 জন মহিলাকে খুন করেছে সে।'' যৌথ অভিযানে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ ও রাচাকোন্দা পুলিশ।
হায়দরাবাদের বাসিন্দা 45 বছরের রামুলু পাথর কাটার কাজ করত। এর আগে 21টি মামলায় অভিযুক্ত থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এগুলির মধ্যে 16টি ছিল খুনে মামলা। পুলিশ জানিয়েছে, 21 বছর বয়সেই রামুলুকে বিয়ে দিয়ে দেন তার বাবা-মা। কিন্তু রামুলুর স্ত্রী কয়েকদিনের মধ্যেই অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যায়। তারপর থেকেই মহিলাদের প্রতি নিদারুণ প্রতিহিংসা জন্মায় রামুলুর। সে একের পর এক মহিলাকে খুন করে তার রাগ মেটাতে শুরু করে। মদ্যপান করে মদের দোকানের কাছাকাছি থাকা একা কোনও মহিলা দেখলেই তাঁকে টার্গেট করত রামুলু।
আরও পড়ুন: হাবড়ায় দম্পতি খুনে অবশেষে গ্রেপ্তার মেয়ে
2011 সালে তাকে যাবজ্জীবন হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। চেরলাপল্লি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি থাকাকালীন তাকে একবার চিকিত্সার জন্য এররাগাদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে সে ও আরও পাঁচ বন্দি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। জেল পালানোর পর ফের একের পর এক খুন করতে থাকে রামুলু।