শিলিগুড়ি, 19 সেপ্টেম্বর: ফের ডেঙ্গির হানায় মৃত্যু হল একজনের(Second Death by Dengue in Siliguri within 1 Week)৷ মৃতের নাম টুইঙ্কেল বর্মা (15)৷ এই নিয়ে এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে শিলিগুড়িতে মৃত্যু হল দু'জনের ৷ চলতি বছরে এটিই দ্বিতীয় মৃত্যু(Dengue Death in Siliguri)। পাশাপাশি 24 ঘণ্টায় 52 জন নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে । এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র শিলিগুড়ি পৌরনিগম এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা 500 পেরিয়ে গিয়েছে । এই ঘটনায় উদ্বেগ ও আতঙ্কে শহরবাসী(Dengue Situation in Siliguri)।
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, পৌরনিগম, স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও । কেন এখনও ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে পারছে না প্রশাসন ? মাত্র একমাসে ধীরে ধীরে ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে শিলিগুড়ি পৌর এলাকায় । শিলিগুড়ি পৌরনিগমের পাশাপাশি নকশালবাড়ি ব্লকের বাগডোগরা ও মাটিগাড়া এলাকাতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ ।
আরও পড়ুন :শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্ত বিজেপি কাউন্সিলর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মেয়র গৌতম দেব
স্বাস্থ্য দফতর ও শিলিগুড়ি পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত কিশোরী শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 5 নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগরের বাসিন্দা । সে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল । তার পরিবারের চারজন সদস্য ডেঙ্গিতে আক্রান্ত । 13 সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর জ্বর হলে তাকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় । কিন্তু দ্রুত ওই কিশোরীর প্লেটলেট কমতে কমতে 25 হাজারে চলে আসে । লিভার, ফুসফুস-সহ একে একে তার অন্যান্য অঙ্গ নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করে । চিকিৎসকরা চেষ্টা করলেও রবিবার ওই কিশোরী মারা যায় ।
এই বিষয়ে মৃতার বাবা বলেন, "বাড়ির আরও কয়েকজন সদস্য ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে । তারাও চিকিৎসাধীন । 13 তারিখ মেয়ের জ্বর আসে । নার্সিংহোমে ভর্তি করি । কিন্তু লাভ হল না ।"
এর আগে 5নং ওয়ার্ডকে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর স্পর্শকাতর ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছিল । ওই ওয়ার্ডের খোদ কাউন্সিলর অনিতা মাহাতোও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন । তিনি শনিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন । পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে শিলিগুড়ির মিলনপল্লির এক সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয় । পৌরনিগমের তরফে ওই ওয়ার্ডে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হলেও রাশ টানা সম্ভব হয়নি আক্রান্তের সংখ্যায় ।
আরও পড়ুন :শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু, আক্রান্ত নতুন করে 19