শিলিগুড়ি, 23 অগস্ট : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে গত মার্চ মাসের শেষ থেকে বন্ধ ছিল উত্তরবঙ্গের বন দফতরের অধীনে থাকা পার্ক এবং উদ্যানগুলি ৷ এবার সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় সরকারি নির্দেশিকা মেনে সেই পার্কগুলিকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর ৷ সেই মতো আজ থেকে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে মোট 32টি পার্ক এবং উদ্যান পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘোরার জন্য খুলে দেওয়া হল ৷ প্রসঙ্গত, 2020-21 সালের মধ্যে প্রায় 14 মাস বন্ধ ছিল উত্তরবঙ্গের এই পার্কগুলি ৷ মাঝে 2 মাসের জন্য পার্ক খুললেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তা বন্ধ করে দিতে হয় ৷
তবে, পার্ক খুললেই তো হল না ৷ সেগুলিকে স্যানিটাইজ করে সাধারণের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেও তুলতে হবে ৷ গত দু’দিন ধরে উদ্যান ও কানন দফতরের তরফে পার্কগুলিকে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে ৷ রোজ নিয়মিতভাবে পার্কের বসার আসন, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, বিভিন্ন রকমের রাইডস সবকিছু ভাল করে স্যানিটাউজ করা হচ্ছে ৷ কারণ পার্কে বিশেষত বাচ্চারাই বেশি যায় ৷ তাই তাদের সুরক্ষার দিকে নজর রেখে পার্কগুলিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে ৷ সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পার্কগুলিতে ঝোপঝাড় বেড়েছে ৷ সেগুলিকেও কাটা হচ্ছে ৷ পার্কের ঘাস বেড়ে যাওয়ায় বাগানকর্মীদের দিয়ে সেই ঘাসগুলিকে সুন্দর করে ছেঁটে সৌন্দর্যায়নের কাজও করাচ্ছে বন দফতর ৷
উত্তরবঙ্গে খুলে দেওয়া হল বন দফতরের 32টি পার্ক তবে, শুধুই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নয় ৷ নজর দেওয়া হচ্ছে সামাজিক দূরত্ববিধি এবং করোনার সকল বিধিনিষেধের উপরেও ৷ বন দফতরের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাচ্চাদের সঙ্গে যাঁরা পার্কে যাবেন, তাঁদের করোনার ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ থাকা বাধ্যতামূলক ৷ তা না হলে পার্কে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না ৷ পার্কের গেটে স্যানিটাইজার রাখা হচ্ছে ৷ সেই সঙ্গে পার্কের ভিতরে সামাজিক দূরত্ববিধি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ৷ সেখানে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক ৷ নজরদারির জন্য অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : শিলিগুড়িতে প্রাতঃভ্রমণের জন্য খোলার আগে স্যানিটাইজেশন পার্কে
বন দফতরের উত্তরবঙ্গের উদ্যান ও কানন বিভাগের আঞ্চলিক বন আধিকারিক অঞ্জন গুহ বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যবিধি কড়াভাবে বজায় রাখা হবে । শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পার্কের সব থেকে কাছের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালের আধিকারিক ও চিকিৎসকরা আচমকা পরিদর্শন করবেন ৷’’ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিলিগুড়ির রেঞ্জার মানব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে পার্কগুলি দু’দিন ধরে স্যানিটাইজ করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি পার্কগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে ৷ স্বাস্থ্যবিধি যাতে বজায় থাকে সেজন্য জনসংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৷ আপাতত 50 শতাংশের বেশি পর্যটকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷’’