শিলিগুড়ি, 20 মে : স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরনিগমের অনুমতি ছাড়াই শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি হোটেলে চালু হল পেইড আইসোলেশন । গত বছর করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকটি হোটেলকে অধিগ্রহণ করে সেফ হোম এবং আইসোলেশন সেন্টার করেছিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ । পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হোটেলকে টাকার পরিবর্তে আইসোলেশন সেন্টার করার জন্য অনুমতিও দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ । ওইসব হোটেলে করোনা আক্রান্ত রোগীরা নিজ খরচায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা করাতে পারতেন ।
নিখরচায় আইসোলেশনে থাকলেও তাদের চিকিৎসার ব্যাপারটি দেখাশোনা করত স্বাস্থ্য বিভাগ । কিন্তু এই বছর করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা পরিচালিত সেফ হোম এবং সরকারি সেফ হোম চালু করলেও হোটেলগুলিতে পেইড আইসোলেশন চালু করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ । জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং শিলিগুড়ি পৌরনিগম কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে ওই হোটেলগুলি পেইড আইসোলেশন চালু করল তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে ।
শিলিগুড়ির সেবক রোড, বিধান রোড, হিলকার্ট রোড ও এনজেপি এলাকার চারটি হোটেল কর্তৃপক্ষ পেইড আইসোলেশন চালু করেছে । চারটি হোটেল মিলিয়ে প্রায় শতাধিক উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, এইসব হোটেলে পেইড আইসোলেশনের থাকার একদিনের জন্য খরচ মাথাপিছু 950 টাকা শুরু করে 1 হাজার 350 টাকা ।