শিলিগুড়ি, 13 জুলাই : বাড়ছে পাহাড় দেখার দাম, চিন্তিত পর্যটন ব্যবসায়ীরা ৷ গত বছর থেকেই করোনার ধাক্কায় ব্যাকফুটে পর্যটন শিল্প । পুজোর আগেভাগে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেছিলেন ট্যুর অপারেটররা ৷ কিন্তু সেই আশায় জল ঢালছে জ্বালানির অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি ।
পুজোর প্রি-বুকিং নিয়ে শঙ্কায় পর্যটন সংস্থাগুলি । পর্যটনের বড় খরচ পরিবহণে ৷ এখন পেট্রল ডিজ়েলের দাম ক্রমাগত বাড়ায় নতুন করে বাড়বে প্যাকেজ ট্যুরের খরচও ৷ মহার্ঘ হবে পাহাড়, জঙ্গল, ঝরনায় সাজানো উত্তরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । সেক্ষেত্রে পর্যটকরা ক্যানসেল করতে পারেন বুকিং ৷ যা মরার উপর খাঁড়ার ঘা হবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের উপরে ৷ তাঁরা বলছেন, সাধারণত একটি ভ্রমণে 40 থেকে 45 শতাংশ খরচ হয়ে থাকে গাড়ি ভাড়ার পেছনে । এখন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে 60 থেকে 65 শতাংশ পৌঁছাবে সেই খরচ । এর ফলে উত্তরবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বেড়াতে এলেই গড়ে বাড়তি 5 থেকে 7 হাজার টাকা গুনতে হবে পর্যটকদের ৷ যার পর অনেকেই বেড়াতে আসা থেকে বিরত থাকতে পারেন ৷
অন্য দিকে নতুন করে দার্জিলিং, কালিম্পং, তরাই ডুয়ার্সে সংক্রমণ বাড়ছে ৷ তাতেও চিন্তিত পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ৷ আশঙ্কা, এতে করে কোপ পড়বে ব্যবসায় ৷ জুন মাসে যেখানে দার্জিলিংয়ে 30 থেকে 32 নেমে এসেছিল দৈনিক সংক্রমণ, চলতি মাসে তা 70 ছাড়িয়েছে । গত এক সপ্তাহে শুধুমাত্র দার্জিলিং জেলায় করোনা সংক্রমিত হয়েছে 512 জন । এভাবে চলতে থাকলে ফের পর্যটকেরা পথে বেরোনো থেকে বিরত থাকবে বলে আশঙ্কা ৷ তবে সবার আগে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ভাবতে হবে সরকারকে ৷ বলছেন অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বাসু ৷
রাজ বাসু বলেন, "জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বাড়তি খরচ পর্যটকদের উপরে পড়বে । পুজোর মরসুমের জন্য প্যাকেজ ট্যুরের বুকিং হয়ে গিয়েছিল ৷ নতুন করে তেলের দাম বাড়ায় আমাদের খরচ বেড়েছে । কিন্তু, সেই বাড়তি খরচ দিতে নারাজ হচ্ছেন পর্যটকরা । এই রকম অবস্থায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নিশ্চিত । পুরো পর্যটনশিল্প মহলেই অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ।"