কলকাতা, 9 জানুয়ারি : মালদা থেকে এখন সরাসরি জালনোট চলে যাচ্ছে বিহারে । ডালখোলা থেকে কিষানগঞ্জ হয়ে বিহারের পূর্ণিয়ায় ঢুকছে ওই জালনোট । কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের ধরপাকড়ের জেরে রুট বদলেছে জালনোট পাচারকারীরা । পাচারের এই নতুন "মোডাস অপারেন্ডির" কথা জানতে পারে ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (DRI) । সেই সূত্র ধরে আজ বাগডোগরার বিহার মোড় থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তারা । তার কাছে উদ্ধার হয়েছে চার লাখ দশ হাজার টাকার জালনোট ।
বাগডোগরায় জালনোট সহ গ্রেপ্তার 1
বাগডোগরার বিহার মোড় থেকে জালনোটসহ গ্রেপ্তার এক ৷ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে DRI । উদ্ধার হয়েছে চার লাখ দশ হাজার টাকার জালনোট ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাগডোগরার বিহার মোড়ে অপেক্ষা করছিল গোয়েন্দারা । ওই ব্যক্তি মালদা থেকে বাসে কিষানগঞ্জ হয়ে বাগডোগরা বিহার মোড়ে আসে । তারপর সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে আটক করে গোয়েন্দারা । জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম গোলাম মুর্তাজা (36)। বাড়ি মালদার কালিয়াচকে । তার কাছের তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় জালনোট । গোলামকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ির ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্সের অফিসে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, জালনোট পাচার করাই তার পেশা । এর আগে সে মহাম্মদ বাইতুল্লাহ এবং মহম্মদ মুমতাজকেও জালনোট সরবরাহ করেছে । বাইতুল্লাহকে গত 2 সেপ্টেম্বর ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স গ্রেপ্তার করে । পাশাপাশি মুমতাজকে 3 ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে DRI-র পূর্ণিয়া শাখা ।
গোয়েন্দাদের ধারণা, গোলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জালনোট চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেকেরই খোঁজ পাওয়া যাবে । ইতিমধ্যেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে গোয়েন্দারা । গোয়েন্দা সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ইনপুট পাওয়া গেছে তার কাছ থেকে ।