শিলিগুড়ি, 2 জুলাই : একে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ । তার উপর দোসর হয়েছে ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) ৷ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের শরীরে বেশি করে সংক্রমণ হচ্ছে এই ভাইরাসের ৷ উত্তরবঙ্গে যার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি করে দেখা গিয়েছে ৷ এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং গবেষকরা জানাচ্ছেন, ব্ল্যাক ফাংগাসের সংক্রমণকে বেশি করে সাহায্য করছে বর্তমান জলবায়ু ৷ লাগাতার বৃষ্টি এবং তার ফলে তৈরি হওয়া স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণের সবচেয়ে বড় কারণ ৷ বিশেষজ্ঞদের লাগাতার গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে ৷
ঘূর্ণাবর্তের জেরে প্রায় রোজই রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না ৷ বর্ষাকাল চলায় মাঝেমধ্যেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যে । যার ফলে মিউকরমাইকোসিসের মতো ফাংগাসের এই পরিবেশে বাড়বাড়ন্ত বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । আর তাই উত্তরবঙ্গের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে ব্ল্যাক ফাংগাস (Black Fungus) । বিশেষজ্ঞদের টানা গবেষণা এবং অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে । গত এক মাসে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হয়ে 19 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷
আচমকা ব্ল্যাক ফাংগাসের বাড়বাড়ন্তের কারণ হিসেবে বর্তমান আবহাওয়াকে দুষছেন চিকিৎসকদের একাংশ । সতর্কতা হিসেবে সাধারণ মানুষকে ভেজা এবং স্যাঁতসেঁতে জায়গায় যতটা এড়িয়ে চলা যায় সেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ এমনকি চা-বাগান, ফুল ও ফলের বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের ফুল হাতা জামা এবং গ্লাভস পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এই ছত্রাক স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে । কাজেই বাড়ির ভেজা জায়গাগুলি পরিষ্কার এবং শুকনো রাখতে হবে । এই আবহাওয়ায় শুধুমাত্র ব্ল্যাক ফাংগাস নয়, অন্যান্য ছত্রাকের থেকেও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় ৷’’