শিলিগুড়ি, 24 জুলাই :দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লকের নির্মাণ কাজের সময়সীমা বেঁধে দিল স্বাস্থ্য দফতর ৷ তাদের কড়া নির্দেশ, আগামী আট মাসের মধ্যেই অর্থাৎ 2022 সালের মার্চ মাসের মধ্যে সুপার স্পেশালিটি ব্লকের কাজ শেষ করতে হবে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে ৷ শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরই একথা জানান জনস্বাস্থ্য বিভাগের উত্তরবঙ্গের ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ সুশান্ত রায়।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপর বরাবরই উত্তরবঙ্গের সবক’টি জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যের রোগীদের চাপ থাকে ৷ এই কারণেই 2015 সালে রাজ্য সরকার হাসপাতাল চত্বরেই একটি সুপার স্পেশালিটি ব্লক তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ সেই মতো, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় 150 কোটি টাকার ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ওই বছরেরই অগাস্ট মাস থেকে ৷
আরও পড়ুন :উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়ালে শিশুদের জন্য পৃথক কোভিড ওয়ার্ড চালু
সম্পূর্ণ প্রকল্পের কাজ 2019 সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি ৷ সময় মতো কাজ না করায় এর আগে দিল্লির দু’টি বরাদ্দপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করে স্বাস্থ্য দফতর ৷ এরপর নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এই কাজের বরাত দেওয়া হয় ‘হসপিট্যালিটি সার্ভিসেস কনসালটেন্সি কর্পোরেশন’ নামে একটি সংস্থাকে ৷ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে সুপার স্পেশালিটি ব্লক তৈরি করার পাশাপাশি কল্যাণীতে এইমস হাসপাতাল তৈরিরও বরাত পেয়েছে এই সংস্থা ৷ এদিন হাসপাতালে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ৷ সেই বৈঠকেই কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন :উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দু‘দিনে ব্ল্যাক ফাংগাসে তিনজনের মৃত্যু
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের আশা, এই সুপার স্পেশালিটি ব্লক চালু হলে উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত হবে ৷ ওএসডি সুশান্ত রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘2015 সাল থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ৷ দু’বছর আগেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি ৷ তাই 2022 সালের মার্চ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ আশা করা হচ্ছে, মার্চ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও ভালো হবে ৷’’ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার প্রকল্প আধিকারিক সুরেশকুমার ভাটনাগর জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াগত কিছু সমস্যা থাকায় কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগছে ৷ কেন্দ্র এবং রাজ্য প্রয়োজনীয় কিছু ছাড়পত্র দিলে আগামী আট মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে ৷