দার্জিলিং, 29 মে : অর্ডিন্যান্স ইস্যু হয় রাজ্যপাল তাতে সই করলেই ৷ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আচার্য বদল ইস্যুতে, ঠোঁটের কোণে হালকা হাসিতে এমনটাই মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar on Ordinance of Chancellor Change Issue) ৷ দার্জিলিং সফরে গিয়ে এ দিন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং তার দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনকে একহাত নেন রাজ্যপাল ৷ সেখানেই রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য বদল প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্বকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
রাজ্যের 25টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় একবছর ধরে সরকারের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলছে ৷ যা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যপাল সরকারের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে উপাচার্যদের নিয়োগের অভিযোগ তুলেছেন ৷ মূলত সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসাবেন ৷ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাব পাশও হয়ে গিয়েছে ৷ এ বার অর্ডিন্যান্সটি রাজ্যপালের সইয়ের জন্য পাঠানো হবে ৷
কিন্তু, এখানেই নতুন দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত রাজ্যপালের মন্তব্যে ৷ এ দিন আচার্য বদল ইস্যুতে তিনি জানালেন, তাঁর কাছে এখনও তেমন কোনও নথি আসেনি ৷ তা এলে তিনি সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন ৷ এর পরেই রাজ্যপাল বলেন, ‘‘কোনও বিল আইনে পরিণত হয় রাজ্যপাল সই করলে ৷ আর কোনও অর্ডিন্যান্সও তখনই ইস্যু হয় যখন রাজ্যপাল তাতে সই করেন ৷’’ আর শুধু বললেন না ৷ তাঁর সেই বক্তব্যের মধ্যে ছিল অর্থবহ হাসি ৷ তবে, কী আচার্য বদল সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সও রাজ্যপাল আটকে রাখবেন ? আর তা যদি সত্যি হয় ! তবে, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে এক নয়া অধ্যায় যোগ হতে চলেছে ৷