পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

প্রেমিকের থেকে মোবাইল আনতেই মালদায় গিয়েছিল ঝুমা, বলছে বান্ধবী

ঝুমার এক বান্ধবী বলেন, "2 ডিসেম্বর আমার বান্ধবী মালদা পৌঁছে ফোন করেছিল । জানিয়েছিল, ওর বন্ধুর কাছে থাকা নিজের মোবাইল ফোন নিতেই সে গিয়েছে । সেখানে নিজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকবে । এরপর অবশ্য কোনও যোগাযোগ হয়নি ।"

siliguri murder
ঝুমা দে

By

Published : Dec 11, 2019, 5:56 PM IST

Updated : Dec 11, 2019, 8:15 PM IST

শিলিগুড়ি, 11 ডিসেম্বর : মালদায় আমবাগানে যুবতির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে মালদা জেলা পুলিশ ৷ তদন্তে গতি আসতেই ওই যুবতির পরিচয় প্রকাশ্যে আসে । জানা যায়, ওই ঝুমা দে নামের যুবতি শিলিগুড়ির বাসিন্দা । 2 ডিসেম্বর তিনি মালদার উদ্দেশে রওনা হন । ঝুমার এক বান্ধবী জানিয়েছেন, প্রেমিকের সঙ্গে মালদায় দেখা করতে গিয়েছিল ঝুমা ৷ পুলিশ এই বক্তব্য খতিয়ে দেখছে ৷

ভিডিয়োয় দেখুন কী বলছেন মৃতের বান্ধবী

ঝুমার হাতের ট্যাটু দেখেই দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা ৷ স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে শিলিগুড়িতে এক পুত্রকে নিয়ে থাকতেন তিনি ৷ পাশের পাড়াতেই থাকতেন তাঁর মা ও বাবা ৷ ফোনে যোগাযোগও ছিল নিয়মিত ৷ সোমবার (2 ডিসেম্বর) ঝুমার সঙ্গে তাঁদের শেষ কথা হয় ৷ এরপরই মোবাইল বন্ধ হয়ে যায় ঝুমার । বারবার ফোনে চেষ্টা করা হলেও অন্য প্রান্ত থেকে সাড়া মেলেনি । খোঁজ খবর শুরু করা হয় পরিবারের তরফে ৷ ঝুমার এক বান্ধবী পরিবারকে জানায়, বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে মালদা গেছে ৷ কিন্তু কিছুদিন কোনও খবর না পাওয়ায় শেষে 9 ডিসেম্বর পুলিশের দ্বারস্থ হন ঝুমার মা ৷ এরপরেই আজ মালদায় ঝুমার হাতের ট্যাটু দেখে তাঁকে শনাক্ত করে পরিবার ৷

ভিডিয়োয় দেখুন কী বলছেন মৃতের পরিবার

কেন শিলিগুড়ি থেকে মালদায় গিয়েছিলেন ঝুমা?

আরও পড়ুন : পরকীয়ার জেরেই মালদায় যুবতিকে খুন, জানাল পুলিশ

জানা গিয়েছে, বাপন ঘোষ ওরফে ছোটন নামের ওই মালদার যুবক শিলিগুড়িতে একটি পপকর্ন প্রস্তুতকারী কারখানায় কাজ করত । সেই সুবাদেই পরিচয় হয়েছিল দু'জনের । ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে । এরপর ছোটন মালদায় ফিরে যায় ৷ দু'জনের সম্পর্কে ভাটা পড়েনি তখনও । সূত্রের খবর, নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ হত দু'জনের ৷ এর আগেও বেশ কয়েকবার মালদাতে গিয়েছিলেন ঝুমা । তবে প্রতিবারই দিনকয়েকের মধ্যে ফিরে আসতেন ঝুমা । তবে এবার আর ফিরে আসা হল না । 5 ডিসেম্বর মালদার এক আমবাগান থেকে উদ্ধার হয় তাঁর অগ্নিদগ্ধ দেহ ।

আরও পড়ুন : গ্রামের পাশে উদ্ধার যুবতির দগ্ধ দেহ, পুরুষশূন্য চাকলা গ্রাম

তবে ঠিক কী কারণে হত্যা করা হয় ঝুমাকে তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷

ঝুমার পরিবারের তরফে দাবি করা হচ্ছে প্রণয় জনিত কারণে খুন ৷ ঝুমার এক বান্ধবী বলেন, "2 ডিসেম্বর আমার বান্ধবী মালদা পৌঁছে ফোন করেছিল । জানিয়েছিল, ওর বন্ধুর কাছে থাকা নিজের মোবাইল ফোন নিতেই সে গিয়েছে । সেখানে নিজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকবে । এরপর অবশ্য কোনও যোগাযোগ হয়নি । পরে আজ জানতে পারি মালদায় তার অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ।" তিনি আরও বলেন, "মাঝেমধ্যেই ঝুমা বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ত ৷ দু'একদিন বাদেই ফিরে আসত । কিন্তু এবার বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বহুদিন পেরিয়ে গেলেও ফেরেনি । এমনকি কোন যোগাযোগও ছিল না ।"

Last Updated : Dec 11, 2019, 8:15 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details