পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

ছুটি পাওয়ার 3 দিন পর অসুস্থ, কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যুতে তদন্ত দাবি অশোকের - corona effected person

হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার তিনদিন পর ফের অসুস্থ হয়ে মৃত্যু কোরোনা আক্রান্ত ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির ৷ এই ঘটনার তদন্ত চাইলেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য।

Patient died controversy
কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যুতে তদন্ত দাবি অশোকের

By

Published : Aug 10, 2020, 10:46 PM IST

শিলিগুড়ি, 10 অগাস্ট : শিলিগুড়িতে কোরোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার তিনদিন পর ফের সংক্রমিত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চাইলেন পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, হাসপাতালে বেড ফাঁকা করতেই তড়িঘড়ি ছুটি দেওয়া হয়েছিল কি না সে তদন্ত করুক স্বাস্থ্যবিভাগ। স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে শিলিগুড়ির সূর্যসেন কলোনির ই ব্লকের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি তাঁর সোয়াব টেস্ট করানোর পর ২৮ জুলাই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । তাঁকে ভরতি নেওয়া হয় COVID হাসপাতালে। পরিবারের সদস্যদের কোয়ারানটিন করা হয় ।

অশোক ভট্টাচার্য

এরপর ৩১ জুলাই ফের তাঁর সোয়াব নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় পরদিন অর্থাত ১ অগাস্ট তাঁকে ছুটি দেওয়া হয় । ৪ অগাস্ট ফের তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে পরিজনেরা তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে নিয়ে গেলে ফের সোয়াব সংগ্রহের পাশাপাশি তাঁকে COVID হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই ওই দিন মারা যান ওই রোগী । সাধারণত কেউ আক্রান্ত হলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় । ফলে দ্বিতীয় বার সংক্রমণের ঘটনা ব্যতিক্রমী হলেও বিরল নয় । তবে ৩১ জুলাই যে সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল তা আদৌ নেগেটিভ ছিল কি না তা নিয়ে সংশয়ে রোগীর পরিজনেরাই । তাঁরা জানান, ছুটির পর তিনদিন বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন রোগী ।

তাহলে কী করে সংক্রমণ হল? স্বাস্থ্যবিভাগের একাংশের অবশ্য দাবি, ছুটি দিলেও কিছু ওষুধ খেতে রোগীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল । তা তিনি খেয়েছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ফলে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন রোগী । পরিজনদের দাবি, সম্পুর্ণ সুস্থ না হলে কেন তড়িঘড়ি ছুটি দেওয়া হল রোগীকে? আজ পৌরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "ঘটনাটির তদন্ত করা উচিত । কারও রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে। হাসপাতালের বেড ফাঁকা করতেই তড়িঘড়ি কাউকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হোক।"

পাশাপাশি অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "COVID মোকাবিলায় বহু কাজই পৌরনিগমকে করতে হচ্ছে । অস্থায়ী কর্মীদের অতিরিক্ত ভাতা দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে । কিন্তু সরকার আর্থিক সাহায্য করছে না । আমরা অগ্রিম বাবদ অর্থ চেয়ে প্রস্তাব দিলেও তা এখনও মঞ্জুর করা হয়নি। ট্যাক্স আদায় কমে যাওয়ায় আর্থিক সংকটে জেরবার হচ্ছে পৌরনিগম। অথচ সরকার উদাসীন।" তিনি আরও বলেন," ইনডোর স্টেডিয়ামে COVID সেফ হোম করা হলেও তার ভাড়া পাইনি। সরকারি আর্থিক সাহায্য পাচ্ছি না। কিছু ক্ষেত্রে পৌরকর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে। অথচ প্রাপ্য না মেলায় আর্থিক সংকট দেখা দিচ্ছে। এসব দিক রাজ্য সরকার ভেবে দেখুক।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details