শিলিগুড়ি, 28 জুন : একে করোনার কোপ । তার উপর গলার কাঁটা স্কুল ফি । দু’য়ের চাপে নাজেহাল বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা । ফি না দিলে পড়ুয়াদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে । বাধ্য হয়েই এবার স্কুলের ফি কমানোর দাবিতে শিলিগুড়িতে পথ অবরোধ করলেন অভিভাবকরা । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির হায়দরপাড়ার ইস্কন মন্দির রোড এলাকায় । অভিযোগ, স্কুল বন্ধ থাকার পরেও শিলিগুড়ির এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল পড়ুয়াদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে ।
অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, গত বছর করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় 15 শতাংশ ফি কমানো হয়েছিল । কিন্তু, এবার তা কমানো হয়নি । উলটে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । অভিযোগ অতিরিক্ত সেই ফি দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের উপর লাগাতার চাপ দিয়ে চলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । অভিভাবকদের বক্তব্য, স্কুল ফি’র রসিদে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও জলের টাকা । অভিভাবকদের প্রশ্ন, করোনায় যখন স্কুল বন্ধ, তখন কেন বিদ্যুৎ ও জলের টাকা দেবেন তাঁরা ? সোমবার এ নিয়ে কথা বলতে স্কুলে যান অভিভাবকরা । কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চান তাঁরা ৷ কিন্তু, ফি কমানো হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ।
এর পরই পথ অবরোধে নামেন অভিভাবকরা । দীর্ঘক্ষণ রাস্তা জুড়ে বিক্ষোভ চলে । অবিলম্বে পড়ুয়াদের স্কুল ফি কমাতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা । এরই মধ্যে পথ অবরোধে আটকে পড়া মানুষের সঙ্গে অবরোধকারী অভিভাবকদের বচসাও বাঁধে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভক্তিনগর থানার পুলিশ । অবরোধ উঠিয়ে আলোচনার কথা বলা হয় তাঁদের । কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষই তো আলোচনা করতে চাইছে না ৷
অতিরিক্ত স্কুল ফি কমানোর দাবিতে পথ অবরোধ অভিভাবকদের আরও পড়ুন : বর্ধিত ফি মুকুবের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা
পাপ্পু ছেত্রী নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ছিল স্কুলের ফি কমানো হোক । করোনার জেরে সকলেই সমস্যায় রয়েছে । কাজ নেই, বেতন নেই । কীভাবে আমরা এত টাকা দেব । আর স্কুল বন্ধ ৷ অথচ বলা হয়েছে বিদ্যুৎ, জলের টাকা দিতে হবে । বিভিন্ন ক্লাসে 300 থেকে 400 টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফি । কিছু কিছু খাতে অন্যান্য বছরের তুলনায় টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে । স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কোন সদুত্তর পাইনি’’ ৷ সময় মতো টাকা জমা না দিলে, জরিমানা বাবদ আরও বেশি টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি ৷