শিলিগুড়ি, 30 এপ্রিল: ঋণ নিয়ে চার বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিলেন ফাঁসিদেওয়ার এক কৃষক। ফসল ভালো ফললেও লকডাউনের জেরে তা পাইকারি বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাজারেও চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি রয়েছে। ফলে দাম পাননি। পরিবারের অভিযোগ, এই অবস্থায় দিশাহারা হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ফাঁসিদেওয়ার ওই কৃষকের নাম নিতাই বিশ্বাস। পরিবারের দাবি, লকডাউনের কয়েকদিন আগে 70 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন নিতাই বিশ্বাস। এরপর চার বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেন। ফলন ভালোই হয়। কিন্তু কোরোনার সংক্রমণের জেরে লকডাউন জারি হওয়ায় তা ন্যায্য দামে কিছুতেই বিক্রি করতে পারছিলেন না। একদিকে যেমন গণপরিবহন না থাকায় দূরের পাইকারি বাজারে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, তেমনই এলাকার বাজারে জোগান বেশি থাকায় ফসলের দাম পাচ্ছিলেন না। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই পরিস্থিতিতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।