শিলিগুড়ি, 8 জানুয়ারি : শিলিগুড়ি পৌরনিগমের পাঞ্জাবিপাড়ায় বাড়ি কিষাণ কুমার আগরওয়ালের । পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট । আর পাঁচটা দিনের মতো গতকালও সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কিষাণবাবু । সাড়ে দশটা নাগাদ ফোনে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথাও বলেন । কিন্তু তারপর থেকেই আর খোঁজ নেই তাঁর । রাত তখন প্রায় 8টা । ফোনে অনেকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাননি পরিবারের লোকেরা । এরইমধ্যে বার দুয়েক অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন আসে পরিবারের লোকেদের কাছে ।
এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় কিষাণবাবুর পরিবার । ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ । পরিবারের তরফে মুখ না খোলা হলেও অপরিচিত ওই নম্বর থেকে ফোন করে কিষাণবাবুর জন্য মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে পুলিশ সূত্রে ।
জানা গেছে, গতকাল সকালে সাড়ে ন'টা নাগাদ বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট কিষাণ কুমার আগরওয়াল । এরপর ফোনে সাড়ে ১০টা নাগাদ পরিবারের সঙ্গে কথাও হয় । কিন্তু তারপর আর ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি কিষাণবাবুর সঙ্গে । রাত 8 টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও খোঁজ না মেলায় পুলিশের দ্বারস্থ হন কিষাণবাবুর পরিবারের লোকেরা । সেই থেকেই শুরু হয় তদন্ত । তবে এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর ৷ পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল থেকে বারকয়েক এক অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে কিষাণবাবুর পরিবারের লোকের কাছে । জানা গেছে, ফোন মারফত মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে পরিবারের লোকের কাছে ৷ যদিও পরিবারের লোকেরা এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ।
এদিকে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই কিষাণবাবুর পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলতে হাজির হন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার । পরিবার ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি । তাঁকে এ-বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা চাই উনি সুস্থভাবে ফিরে আসুক । আমরা যতটা শুনেছি ওনার বাড়িতে বারকয়েক ফোন এসেছিল । তবে সঠিক কী কথা হয়েছে জানা নেই ৷ পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ।"