শিলিগুড়ি, 13 মে : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু গোটা রাজ্য । সংক্রমণ এড়াতে ইতিমধ্যে একাধিক ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ । যার প্রভাব পড়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে । যে স্টেশন থেকে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ তো বটেই সিকিম, অসম, বিহার সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের যে কোনও স্থানে যাওয়া যায়।
সারা বছরই পর্যটকদের ঢল নামে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে । আর পর্যটকদের উপরই নির্ভর করে অনেকের জীবনধারণ । নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন শুধু রাজ্যের নয় । গোটা দেশের মধ্যেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম রেল স্টেশন । ওই রেল স্টেশন থেকে 88টি যাত্রীবাহি ট্রেন পরিচালিত হয় । যাত্রীদের বোঝা কাঁধে তুলেই কিছু টাকা রোজগার করে জীবনযাপন করে থাকে স্টেশনের কুলিরা । এনজেপি রেল স্টেশনে রেল কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত কুলির সংখ্যা 103 জন । পাশাপাশি হকার রয়েছেন 32 জন । আর পাঁচটা দিন স্টেশনের যাত্রীদের সামগ্রী বিক্রি করেন তাঁরা । কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি ট্রেন চললেও তাতে দেখা নেই যাত্রীদের । পসরা সাজিয়ে বসলেও হচ্ছে না বিক্রি । ফলে করোনা পরিস্থিতিতে সংসার কীভাবে চালাবেন ? তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে কুলি ও হকারদের মধ্যে ।