পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

হাতি এলেই বাজবে অ্যালার্ম !

হাতি লোকালয়ে ঢুকলেই বেজে উঠবে অ্যালার্ম । সংকেত যাবে বিট অফিসারের কাছে । সেই সংকেত পেলে অ্যালার্ম বাজিয়ে দেবেন বিট অফিসার । সতর্ক হবে গ্রামবাসী । জলদাপাড়া ও গোরুমারার পর এবার মহানন্দা অভয়ারণ্যে এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং সেন্সর অ্যালার্ম বসানোর উদ্যোগ নিল বনদপ্তর ।

এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং সেন্সর অ্যালার্ম

By

Published : Aug 13, 2019, 4:46 AM IST

শিলিগুড়ি, 13 অগাস্ট : লোকালয়ে হাতি এলেই বেজে উঠবে অ্যালার্ম । সংকেত যাবে বিট অফিসারের কাছে । সেই সংকেত পেলে অ্যালার্ম বাজিয়ে দেবেন বিট অফিসার । সতর্ক হবে গ্রামবাসী । ফলে এড়ানো যাবে হাতির তাণ্ডব । জলদাপাড়া ও গোরুমারার পর এবার মহানন্দা অভয়ারণ্যে এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং সেন্সর অ্যালার্ম বসানোর উদ্যোগ নিল বনদপ্তর ।

প্রথম ধাপে গতকাল শিলিগুড়ির গুলমা রেঞ্জের পুন্ডিং খৈরানী বনবস্তি এলাকায় পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে 8টি অটোমেটিক এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং সেন্সর অ্যালার্ম বসানো হয় । সাফল্য মিললে বিস্তীর্ণ এলাকায় আরও সেন্সর বসানো হবে । বনদপ্তরের এই উদ্যোগে সহযোগিতা করেছে সোসাইটি ফর নেচার অ্যান্ড অ্যানিমাল প্রোটেকশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা । এর আগে জলদাপাড়ার হাতি করিডরে প্রায় 8টি সেন্সর বসানো হয়েছিল । যা ২০০ মিটার দূরত্বে থাকা হাতির আগাম সতর্কতা দিতে সক্ষম । তাতে কিছুটা কাজও দিয়েছিল । তবে সেক্ষেত্রে অল্প পরিসর এলাকায় কাজ করত সেন্সর । এবার আরও বড় এলাকাজুড়ে সক্রিয় থাকবে অ্যালার্ম সেন্সর ।

এবিষয়ে দার্জিলিং ওয়াল্ড লাইফের DFO জিজু জেসপার জে বলেন, "জলদাপাড়ায় সাফল্যের পর পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে গুলমা রেঞ্জে 8টি অত্যাধুনিক অটোমেটিক এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং সেন্সর অ্যালার্ম বসানো হয় পৃথক চারটি জায়গায় । আশা করছি সাফল্য মিলবে ৷ সেক্ষেত্রে আগামীদিনে অন্যান্য এলিফ্যান্ট করিডরেও এই সেন্সর বসানো হতে পারে ।" আশাবাদী ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিও । সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক পরীক্ষায় ভালো সাড়া মিলেছে । এবার পাকাপাকিভাবে তাই সুকনার বনাঞ্চলে লাগানো হল । এর জেরে মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাতের ঘটনা কিছুটা হলেও কমবে ।

উল্লেখ্য ,গতকাল ছিল বিশ্ব হাতি দিবস । বিশেষ এই দিনেই হাতি ও মানুষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা এড়াতে বনদপ্তর ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা । তাদের বক্তব্য, গুলমা রেঞ্জের অধীন পুন্ডিং খৈরানী বনবস্তিতে প্রায়শই ঢুকে পড়ে হাতির দল । হাতির হানায় ক্ষতি হয় স্থানীয়দের । খাবারের খোঁজে কখনও বাড়িঘর ভেঙে দেয় তো কখনও খেতের ফসল নষ্ট করে হাতির পাল । কখনও উন্মত্ত হাতির তাড়া খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই । মাস কয়েক আগেই জঙ্গল এলাকায় টহলদারির সময় হাতির আক্রমণে মারা যান এক বনকর্মী । তাই এই এলাকাকে চিহ্নিত করে লাগানো হয় অ্যালার্ম । আশা, হাতির তাণ্ডব থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলবে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details