মালদা, 21 ডিসেম্বর : শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের ক্ষোভ বাড়ছে ৷ আজ হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে প্রকাশ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টারে জুতো মেরে, কালি মাখিয়ে বিক্ষোভ দেখায় যুব তৃণমূল কর্মীরা৷ এর নেতৃত্বে ছিলেন হবিবপুর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি৷ এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি৷ তৃণমূল কর্মীদের শিক্ষা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির৷ দলীয় যুব কর্মীদের এহেন কাজকে সমর্থন করছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও৷
গত কয়েকদিন ধরেই মালদার বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সম্বলিত পোস্টার ও ব্যানার দেখা যাচ্ছিল ৷ শনিবার, শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগদানের পর তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের প্রথম উদ্গীরণ হয় চাঁচলে ৷ সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা শুভেন্দুবাবুর ছবি সম্বলিত ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ আজ হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে দেখা গিয়েছে তেমনই দৃশ্য৷ ওই ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি সৌগত সরকারের নেতৃত্বে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা শুভেন্দুবাবুর ছবিতে জুতো মারে, কালো রং লেপে দেয় ৷ এই ঘটনায় সৌগতবাবুকেও সেই কাজ করতে দেখা গিয়েছে৷
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁকে ভরসা করেছিলেন, 10 বছর ধরে যিনি দলটাকে ব্যবহার করেছেন, সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেন৷ এই বাংলায় মীরজাফর কখনও নবাব হতে পারেনি ৷ একুশেও এই মীরজাফর নবাব হতে পারবেন না ৷ তাঁর উচ্চাকাঙ্খা ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন৷ তাই তিনি বিভিন্ন জেলায় দলের অবজারভার হয়ে লোকসভা নির্বাচনে সেই জেলাগুলিতে বিজেপিকে জিতিয়েছেন ৷ আজ তিনি যে হাত ধরেছেন, সেই হাত কৃষকদের রক্তে রাঙা, গুজরাতের অশান্তির রক্তে রাঙা ৷ সেই হাত ধরে কখনও বাঙালিকে ঠকানো যায় না, বাংলায় দাঁত ফোটানো যায় না৷ তাই আজ যুব তৃণমূল কর্মীরা তাঁর ছবিতে জুতো মেরে, মুখে কালো রং লেপে তাঁকে শিক্ষা দিলেন৷”