হরিশ্চন্দ্রপুর, 2 ফেব্রুয়ারি : আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে অন্যের জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে (TMC Leader Allegedly Occupied a land in Malda)। অভিযোগ জোর করে জমি দখল করার পর সেখান থেকে মাটি কাটানো হচ্ছে পুকুর খননের জন্য ৷ 100 দিনের কাজের টাকা বেআইনিভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সদস্য মর্জিনা খাতুনের স্বামী সুলতান আলির বিরুদ্ধে ৷ আর কাজে বাধা দিতে গেলে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ এই পরিস্থিতি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জমির মালিক তথা তৃণমূলেরই কর্মী সাজ্জাদ হোসেন । যদিও তাঁর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুলতান আলি । গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক ৷
জমি দখল করে জোর করে পুকুর খননের ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2নং ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইলম গ্রামে ৷ পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, 100 দিনের কাজে ইলম গ্রামে একটি পুকুর খননের জন্য 1 লক্ষ 84 হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, এই পুকুর খনন বেআইনিভাবে হচ্ছে এই অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী ৷ সাজ্জাদ হোসেন নামে ওই ব্যক্তির দাবি জমিটি তাঁর ৷ জমি খনন করার জন্য তিনি কাউকে কোনও অনুমতি দেননি ৷
আরও পড়ুন : Bengal Civic Poll 2022 : জোটের আশায় ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদায় আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কংগ্রেসের
তাঁর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী জোর করে আমার জমি থেকে মাটি কাটছেন ৷ বাধা দিতে গেলে আমাকে খুনের হুমকি দিচ্ছেন ৷ এ নিয়ে আমি গত 22 জানুয়ারি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি ৷ কিন্তু, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হই ৷ আদালত এই কাজের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে ৷ 26 জানুয়ারি আদালতের স্টে অর্ডার পঞ্চায়েতের হাতে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, তার পরেও আমার জমি থেকে মাটি কাটা হয়েছে ৷ বলা হয়েছে, আমি বাধা দিলে আমাকে যেন জমিতে পুঁতে দেওয়া হয় ৷ তাই আমি ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকছি ৷ অথচ সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী এই কাজে সোহরাব আলি নামে একজনের জমি থেকে মাটি কাটার কথা ৷ এখানে তাঁর কোনও জমিই নেই ৷ আসলে এই বেআইনি কাজে খোদ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকই জড়িয়ে রয়েছেন ৷’’