মালদা, ২২ ফেব্রুয়ারি : মালদা জেলার প্রধান অর্থনৈতিক ফসল আম। এবার জেলার প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। আম চাষে যেমন ভালো শীত প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন ধীরে ধীরে তাপমাত্রার বৃদ্ধি। মূলত পৌষ মাসের শুরুতেই গাছে মুকুল তৈরি হতে শুরু করে। মাঘ মাসে দু'এক পশলা বৃষ্টি মুকুলকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে। মাঘ মাসের শেষের দিক থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলেই মুকুল পল্লবগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এবার ঠিক এমনই আবহাওয়া রয়েছে এই জেলায়। ফলে ভালো ফলনের আশায় দিন গুনছে চাষিরা।
এখন গাছে শুধু জল দিন, কীটনাশক নয় ; বাড়বে আমের ফলন - rain
আমের ভালো ফলন চাইতে কম কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ জেলা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের।
রাহুলবাবু জানান, মালদার আমে তুলনামূলকভাবে কীটনাশক কম ব্যবহার করা হয়। মহারাষ্ট্র কিংবা উত্তরপ্রদেশে মরশুমে ১০ বার স্প্রে করা হয়। সেখানে এই জেলায় মরশুমে মাত্র ৪ বার কীটনাশক স্প্রে করা হয়। কিন্তু এখানে একটি সমস্যা রয়েছে। পরিপক্ক হওয়ার আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে আম পাকিয়ে দেন। এতে মালদার আমের সুনাম অনেকটা নষ্ট হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের বার বার সচেতন করছেন।
এই বিষয়ে, ইংরেজবাজারের এক আমচাষি শিবনাথ ঘোষ বলেন, "আশা করছি এবার আমের ভালো উৎপাদন হবে। ইতিমধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ মুকুল বেরিয়ে এসেছে। এবারের আবহাওয়া চাষের পক্ষে খুব অনুকূল। মাঘ মাসের শুরুতে যে বৃষ্টি হয়েছিল, তাতে খুব ভালো মুকুল হয়েছে। মুকুল থেকে ফুল বেরিয়ে এলে যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে চাষের কোনও সমস্যা নেই। তবে ফুল ফোটার আগে বৃষ্টি হলে মুকুল কালো হয়ে যেতে পারে। তাতে ছত্রাকের আক্রমণেরও আশঙ্কা রয়েছে। এখন গাছে কীটনাশক স্প্রে শুরু করা হয়েছে।"