পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

100 দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছেন পঞ্চায়েত সদস্যের শওহর ! বিক্ষোভ - 100 দিনের কাজের টাকা

“আমরা 100 দিনের কাজ করি ৷ সেই টাকা এসেছে ৷ কিন্তু এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের শওহর সেই টাকার সিংহভাগ নিজের পকেটে পুরছে ৷" অভিযোগ এলাকার মহিলাদের ।

wages
পঞ্চায়েত সদস্য

By

Published : May 5, 2020, 7:17 PM IST

মালদা, 5 মে : কার্ড না থাকায় অনেকেই রেশনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে না ৷ তার মধ্যে বাড়ির অনেকে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আটকে পড়েছেন ৷ এই সময় তাদের সহায় হতে পারত 100 দিনের কাজের টাকা ৷ অভিযোগ, সেই টাকাই নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যের শওহর ৷ তাই আজ সেখানে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলারা । ঘটনাটি ইংরেজবাজার ব্লকের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া গ্রামের ৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন BDO৷


সাতঘরিয়া গ্রামটির বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক ৷ তাই লকডাউনের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন অনেকে ৷ ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘরে রয়েছেন মহিলা ও বয়স্করা ৷ এই গ্রামের শতাধিক মহিলার অভিযোগ, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁরা কোনও সাহায্য পাননি ৷ সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনও ত্রাণও তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি ৷ বাড়ির পুরুষরা সব বাইরে ৷ এদিকে ঘরে খাবার নেই ৷ রোজার সময় একবেলা খাবারও ঠিকমতো জুটছে না ৷ তাঁরা প্রায় সবাই 100 দিনের কাজ করেন ৷ আর সেই টাকাই এক পঞ্চায়েত সদস্যের শওহর নিজের কাছে রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ ৷ তাঁরা টাকার কথা বলতে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ৷


আজ গ্রামের এক মহিলা মাজেদা বিবি বলেন, “আমরা 100 দিনের কাজ করি ৷ সেই টাকা এসেছে ৷ কিন্তু এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের শওহর সেই টাকার সিংহভাগ নিজের পকেটে পুরছে ৷ কারও 5 হাজার টাকা ঢুকলে তাঁর হাতে মাত্র 200-300 টাকা দিচ্ছেন ৷ গত সাত বছর ধরেই সে এমন কাজ করে যাচ্ছে ৷ আমাদের জবকার্ডগুলিও সে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে ৷ আমরা জবকার্ড চাইতে গেলেও তা দিচ্ছে না ৷ অনেকের ব্যাঙ্কের পাসবুকও সে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে ৷ আমরা গ্রামের মাতব্বরদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি ৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি৷” গ্রামের আর এক বাসিন্দা আরিনা বিবি বলেন, “আমাদের রেশন কার্ড নেই ৷ এখনও কার্ড হাতে আসেনি ৷ মেম্বার নিজের কাছে জবকার্ড রেখে দিয়েছে ৷ 100 দিনের কাজ করেও মজুরির টাকা পাচ্ছি না ৷ একবারও মেম্বার আমাকে টাকা দেয়নি ৷ কিছুদিন আগে আমার অ্যাকাউন্টে 1100 টাকা ঢুকেছে ৷ কিন্তু মেম্বার সেই টাকা মেরে দিয়েছে ৷ কিছু বললে বলে, তোমার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি ৷” প্রায় একই অভিযোগ তাজকুরা বিবি, সালমা বিবি সহ গ্রামের একাধিক মহিলার ৷


জানা গেছে, নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া এলাকার গ্রাম সদস্য রুনা লায়লা হলেও তাঁর শওহর সফিকুল ইসলামই সব কাজ করেন । এর আগে পাঁচ বছর ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন ৷ তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি ৷ ইংরেজবাজারের BDO সৌগত চৌধুরি এনিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details