মালদা, 1 অক্টোবর : শিশুমৃত্যু কমাতে মালদা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের 'পিকু' ওয়ার্ডে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে । বৃহস্পতিবার মালদায় এসে একথা জানিয়েছেন কোভিড মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তা সুশান্ত রায় ।
সুশান্ত রায় বলেছেন, "শিশুমৃত্যু প্রতিবছর এইসময় হয়ে থাকে । আরএস নাম একটি ভাইরাসকে আমরা একদিনের মধ্যে ডায়াগনসিস করেছিলাম । শিশুরা যে কোনওভাবে এতে সংক্রমিত হতে পারে । সেই কারণে গত চার-পাঁচ মাস ধরে আমরা উত্তরবঙ্গে সমস্ত পেডিয়াট্রিক ইউনিটকে উন্নত করেছি । তাতে অনেক শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে । মালদা মেডিক্যালেও আমরা পেডিয়াট্রিক সেন্টার অফ এক্সিলেন্সি করছি । উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা জুড়ে 'পিকু' ইউনিট তৈরি করা হয়েছে । সমস্ত জেলাতেই বেড বাড়ানো হয়েছে । সরকার নিজের সামর্থ্য মতো বেডের ব্যবস্থা করেছে । আগে শুধু মেডিক্যাল কলেজে 'পিকু' ইউনিট থাকত । এখন আমরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও সাব ডিভিশনাল হাসপাতালেও সেই ব্যবস্থা করছি । মালদা মেডিক্যালে এক শিশুর মধ্যে করোনা দেখা গিয়েছে । উত্তরবঙ্গে এরকম কিছু কেস থাকতে পারে । এক্ষেত্রে শিশু বাবা কিংবা মায়ের থেকে করোনা সংক্রমিত হয়েছে । "
স্বাস্থ্যকর্তা সুশান্ত রায় আরও বলেন, "শুধু স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নয়, কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে । ইতিমধ্যে মালদা মেডিক্যালে 'পিকু' ইউনিট নিয়ে একটি ট্রেনিংও হয়েছে । আগামীতেও এরকম আরও ট্রেনিং করানো হবে । কিছুদিনের মধ্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজে স্পেশাল টিম পাঠানো হবে । নার্সিং স্টাফের পাশাপাশি মেডিক্যাল টেকনলজিস্টদের 'পিকু' ইউনিট নিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হবে । পুরো উত্তরবঙ্গে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এই ট্রেনিং হবে ।”