মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমানে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি-সহ মোট 12 জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷ তার মধ্যে পাঁচটি জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ তবে ভোটের আগে এনিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার তৃণমূল মহলে৷
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী৷ বিধায়কের বাড়ির ভিতরে ঢুকেও তারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ ঘটনার পর নীহারবাবু দাবি করেন, “এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস৷ আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যেই ওই দু’জনের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটায়৷ এটা তাঁদের পরিকল্পিত হামলা৷ ঘটনা চলাকালীন সিসিটিভির ফুটেজেও ওই দু’জনকে দেখা গিয়েছে৷”
ঘটনার প্রেক্ষিতে কৃষ্ণেন্দুবাবু, প্রসেনজিতবাবু-সহ মোট পাঁচজনের নামে এবং অচেনা আরও অনেকের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক৷ সেদিন রাতে পুলিশকর্মীদের হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে৷ এরপরেই গতকাল সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কৃষ্ণেন্দুবাবু দাবি করেন, সেদিন রাতে বিধায়কের পাড়ার একটি ঝামেলায় তাঁর ওয়ার্ডের কিছু ছেলে জড়িয়ে পড়ে৷ তারা বিধায়কের পাড়ায় চলে যায়৷ খবর পেয়ে তিনি ও প্রসেনজিতবাবু সেখানে গিয়ে ছেলেদের ফিরিয়ে আনেন৷ তাছাড়া সেদিন মহদিপুর ও কালিয়াচকের কিছু নামকরা সমাজবিরোধী বিধায়কের বাড়িতে একটি গোপন বৈঠক করে৷ তাঁকে খুন করতে সেই বৈঠক হয়৷ সেই খবরও তাঁর কাছে আছে৷
সূত্রের খবর, ভোটের মুখে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ উপরমহল থেকে এই ঘটনায় পুলিশকে কড়া তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ৷ শুরু হয় তদন্ত৷ ঘটনার পর নীহারবাবু পুলিশকে সিসিটিভির যে ফুটেজ দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হয়৷ সেই ছবি দেখে আরও সাতজনকে চিহ্নিত করা হয়৷ পরে পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে৷