মালদা, 18 অগাস্ট : কোরোনা সংক্রমণের জেরে চার মাস ধরে পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৷ কোনও বিশেষ কারণে প্রয়োজন পড়লে ডেকে পাঠানো হচ্ছে অভিভাবকদের ৷ কোনও কারণে পড়ুয়াদের প্রয়োজন পড়লে তাদের অল্প সংখ্যায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে ৷ এসবের একটাই কারণ, পড়ুয়ারা যাতে কোনওভাবেই কোরোনা সংক্রমিত না হয়ে পড়ে ৷ এই পরিস্থিতিতে উলটো ছবি ধরা পড়েছে পুরাতন মালদার আহ্লাদমণি গার্লস হাইস্কুলে ৷ কোনও একটি ফর্ম পূরণের জন্য আজ একাদশ শ্রেণির 130 জন ছাত্রীকে একইসঙ্গে স্কুলে তলব করেন এক শিক্ষিকা ৷ গতকাল রাতে ফোনে প্রত্যেক ছাত্রীকে জানিয়ে দেন, তাদের আজই স্কুলে আসতে হবে ৷ তা না হলে ভবিষ্যতে তাদের সমস্যা হবে ৷
শিক্ষিকার নির্দেশে স্কুলে ভিড় একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের, উধাও সামাজিক দূরত্ববিধি
শিক্ষিকার নির্দেশ মেনে আজ নির্ধারিত সময় সকাল 11টায় স্কুলে হাজির হয়ে যায় 130 জন ছাত্রী ৷ শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্ববিধি ৷
শিক্ষিকার নির্দেশ মেনে আজ নির্ধারিত সময় সকাল 11টায় স্কুলে হাজির হয়ে যায় 130 জন ছাত্রী ৷ মুহূর্তে শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্ববিধি ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবকদের একাংশ ৷ যদিও ওই শিক্ষিকা এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হতে চাননি ৷ তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ৷ শিক্ষিকার নির্দেশমতো আজ সকাল 11টার আগে থেকেই স্কুলের গেটের সামনে ভিড় করেছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা ৷ তারা জানায়, “গতকাল রাতে দিদিমণি ফোন করে আমাদের স্কুলে আসতে বলেন৷ তিনি জানান, আজই আমাদের সবাইকে ডাটা ক্যাপচার ফর্ম পূরণ করতে হবে৷ তার জন্য কয়েকটি নথিও সঙ্গে নিয়ে আসতে বলেন তিনি৷ দিদিমণির নির্দেশ মতো আমরা 11টায় স্কুলে চলে এসেছি৷ তবে দিদিমণি বেলা 12টায় স্কুলে আসেন৷ তারপরেই ফর্ম পূরণের কাজ শুরু হয়েছে৷ এদিকে স্কুলে উপস্থিত ছাত্রীদের গায়ে গা লাগিয়েই দাঁড়াতে দেখা যায়৷ অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি৷ শেষ পর্যন্ত স্কুলের অশিক্ষক কর্মীরা তাদের লাইনে দাঁড় করান৷
গতকাল রাতে ছাত্রীদের স্কুলে ডেকে পাঠিয়েছিলেন কম্পিউটার বিভাগের অতিথি শিক্ষিকা মৌমিতা চৌধুরি ৷ তিনি কেন একসঙ্গে এতজন ছাত্রীকে স্কুলে ডাকলেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে বাধ্য নন ৷ তিনি যা বলার উপরমহলে বলবেন ৷ এই ঘটনার ফলে যদি কোনও ছাত্রী কোরোনায় সংক্রমিত হয় তবে তার দায় কে নেবে? এই প্রশ্নেরও কোনও জবাব দেননি তিনি ৷ এনিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপালি ঝাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “এমন ঘটনার কথা আমার জানা নেই ৷ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে৷ ওই শিক্ষিকার সঙ্গেও এনিয়ে কথা বলব ৷ তবে একসঙ্গে এতজন ছাত্রীকে না ডেকে ভাগ ভাগ করে ডাকলেই ভালো হত ৷”