মালদা, 19 মে : ভিন রাজ্যে থেকে ফিরেছেন ৷ যেতে চাইছেন মায়ের কাছে ৷ কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসী ৷ তাদের বক্তব্য, 14 দিনের কোয়ারানটিনে থাকার পরই তিনি এলাকায় ঢুকতে পারবেন ৷ কিন্তু এলাকায় কোনও সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টার না থাকায় বাধ্য হয়ে গাছের নিচে আশ্রয় নেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক ৷ পুরাতন মালদার রশিলাসহ এলাকার ঘটনা ৷
এলাকায় ঢুকতে বাধা, গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক - পরিযায়ী শ্রমিক
এসেছেন দিল্লি থেকে ৷ যেতে চান মায়ের বাড়ি ৷ কিন্তু এলাকাবাসী যেতে দিচ্ছে না ৷ তাদের বক্তব্য, ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন তাই 14 দিন কোয়ারানটিনে থাকতে হবে ৷ কিন্তু এলাকায় নেই কোনও কোয়ারানটিন সেন্টার ৷ অগত্যা গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক ৷
পাঁচ মাস আগে দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাম সিং ৷ সেখানে রঙের কাজ করতেন ৷ আজ সকালেই দিল্লি থেকে মালদা ফিরেছেন ৷ কিন্তু এলাকায় প্রবেশ করতেই স্থানীয়রা বাধা দেয় ৷ তাদের বক্তব্য ১৪ দিন কোয়ারানটিনে থাকতে হবে । কিন্তু তাঁর মায়ের বাড়িতে হোম কোয়ারানটিন থাকার মতন পরিকাঠামো নেই ৷ তাই বাধ্য হয়েই স্থানীয় গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "আজ দিল্লি থেকে এসেছি ৷ এলাকার লোকজন আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না ৷ বাইরে থাকতে বলছে ৷ আমি বাড়িতে মায়ের কাছে যেতে চাই ৷"
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সুজন সাহা বলেন, "ওই শ্রমিকের বাড়ি এই ওয়ার্ডে নয় ৷ তাঁর মায়ের বাড়ি এখানে রয়েছে ৷ মাঝেমধ্যে তিনি মায়ের কাছে আসেন ৷ আজ সকালে দিল্লি থেকে ফিরে তিনি সোজা মায়ের বাড়িতে চলে আসেন । কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাঁকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয় । খবর পেয়ে আমি ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই । চিকিৎসকরা তাঁর থার্মাল স্ক্রিনিং করে ৷ 14 দিন কোয়ারানটিনে থাকতে বলে । এই এলাকায় সরকারিভাবে কোয়ারানটিন সেন্টার নেই । প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় কয়েকটি সরকারি স্কুল কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরির জন্য দেখা হয়েছিল । কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় কোয়ারানটিন সেন্টার করতে দেননি । আমরাও সেই ব্যবস্থা করতে পারিনি । সেই কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । দিল্লি থেকে ফেরার পরেও ওই শ্রমিককে গাছতলায় থাকতে হচ্ছে, এটা অমানবিক। সমস্ত ঘটনা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি ।"