মালদা, 17 মে : অসহ্য গরমের পর শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে জেলায় শুরু হয় কালবৈশাখীর জেরে ঝড়-বৃষ্টি । দু’দফার ঝড়-বৃষ্টিতে আজ অনেকটাই ঠাণ্ডা জেলার আবহাওয়া (Extensive damage in Malda due to Kalbaishakhi storm)। কিন্তু এই ঝড়-বৃষ্টিতে কপাল পুড়েছে অসংখ্য মানুষের । মূলত পুরাতন মালদা ও ইংরেজবাজার ব্লকে কালবৈশাখীর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে । দুই ব্লকেই বোরো ধানের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায় । অনেক জমির পাকা ধান এখন জলের নীচে। উপড়ে গিয়েছে ফলন্ত আমগাছ, উলটে যাওয়া বড় বড় গাছের নীচে চাপা পড়েছে ঘরবাড়ি । অসংখ্য বাড়ির চালা উড়ে গিয়েছে । ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি । গতকাল রাত থেকে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন (No electricity in Malda After Kalbaishakhi storm)।
দু’দফায় কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে দুই ব্লকে। প্রথম দফায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় রাত ন’টা নাগাদ। দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ভোর তিনটে নাগাদ। সঙ্গে মুহূর্মুহূ বাজ পড়তে থাকে । তবে বজ্রপাতে কোনও মৃত্যুর খবর এখনও পাওয়া যায়নি । কিন্তু ঝড়ের দাপট সামলাতে অবস্থা সঙ্গীন হয়ে ওঠে মানুষের । পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সোহরা গ্রামের বাসিন্দা গৌতম রাজবংশী জানান, "রাত ন’টা নাগাদ বাড়িতেই ছিলাম । প্রথমে হালকা বৃষ্টি শুরু হল । কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝড় । ঝড়ের দাপটে কিছু দেখা যাচ্ছিল না । এর মধ্যেই আমার দোকানটা ঝড়ে উড়ে যায় । অসংখ্য বাড়ির চালা হাওয়ায় উড়তে থাকে । ভেঙে পড়তে থাকে গাছপালা, ইলেকট্রিক পোল । আজ সকালে দেখি, গ্রাম প্রায় ধংসস্তুপের চেহারা নিয়েছে । এই অবস্থায় আমরা সরকারি সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি ।"
রাতের ঝড়ে শবদলখানি গ্রামের সোহাগি রাজবংশীর বাড়ির উপর গাছ ভেঙে পড়েছে । তাঁর পাম্পসেটের ঘর ভেঙে গিয়েছে । তিনি বলেন, "শুধু আমার বাড়ি নয়, অনেক বাড়িরই একদশা । ঝড়ে গাছ পড়ে আমাদের পাম্প মেশিনের ঘর, এমনকি মেশিনটাও ভেঙে গিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে সরকার পাশে না দাঁড়ালে আমরা মারা পড়ব ।"