মালদা, 4 মে : রতুয়া 1 নম্বর ব্লক তৃণমূলে ফের জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা । আবারও রতুয়া থানার আইসির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন এলাকার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় (Malda TMC block president Fazlul Haque accused as soil Mafia by MLA)। ফুলহর নদীর ব্রিজের নীচ থেকে মাটি তোলা নিয়ে থানার পুলিশকর্তাকে বিঁধেছেন তিনি । একইসঙ্গে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন দলের রতুয়া 1 নম্বর ব্লক সভাপতি ফজলুল হককেও । যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এই ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি । এক্ষেত্রে আরও একবার বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি (TMC Factionalism in Malda) ।
এনিয়ে সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, "মাটি মাফিয়াচক্রের নেটওয়ার্কের মূল মাথা ফজলুল হক । তৃণমূলের বোরখা পরে সে এই কাজ করছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে অতুল ঘোষ, আসারি ঘোষরা । আসলে এরা সব বিজেপি । এদের সঙ্গে যোগ রয়েছে রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকারের । রাতে এই মাফিয়ারা থানায় গিয়ে আড্ডা মারে । সেখানে টাকাপয়সা দেয় । এভাবেই তাঁরা এই অত্যাচার করছে । কিন্তু রাজস্ব যদি না আসে তবে সরকার চলবে কী করে ? কলকাতায় গিয়ে গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব । তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনা আমি এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিমকে জানিয়েছি ।"
বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক বলেন, "উনি আসলে পাগল হয়ে গিয়েছেন । তাঁর জানা উচিত, আমি একজন শিক্ষক । আমার বাবাও শিক্ষক ছিলেন । আমি নরমপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী । নিজেও চরমপন্থী নই । আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই । তবে দু’একটি মিথ্যে মামলায় সমর মুখোপাধ্যায়ই আমার নাম জুড়ে দিয়েছেন । আজ যেসব কথা তিনি বলছেন তা 100 শতাংশ মিথ্যে । পুরোটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত । যদি তাঁর বাবার দম থাকে, তবে তিনি এই বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করান । একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অবান্তর কথাবার্তা তাঁর শোভা পায় না ।"
মালদার দলীয় ব্লক সভাপতি ফজলুল হককে মাটি মাফিয়া তকমা তৃণমূল বিধায়কের আরও পড়ুন :Berhampore College Student Murder : আগেও মিলেছিল খুনের হুমকি, মেয়ের নিথর দেহ গ্রামে ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার
এই ইস্যুতে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বকসি আগের মতোই বিধায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছেন । তিনি বলেন, "ফুলহর নদীর উপর নাককাট্টি ব্রিজ বিধায়কের স্বপ্নের ব্রিজ । রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় তিনিই অনেক কষ্ট করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ব্রিজটা রতুয়ায় নিয়ে এসেছেন । তাই এই ব্রিজের সঙ্গে তাঁর প্রাণের যোগ রয়েছে । ব্রিজের কোনও ক্ষতি দেখতে তিনি নিশ্চিতভাবে প্রতিবাদ করবেন । তাছাড়া সেখানেই তাঁর বাড়ি । ফলে তিনি যদি কিছু বলে থাকেন, তার মধ্যে কিছুটা সত্যতা অবশ্যই আছে । আর ব্লক সভাপতি মাঝেমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের কাছে বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করছেন । দলের বিরুদ্ধে যা তা বলছেন । যাতে দল ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । আমরা তাঁর বিষয় নিয়ে জেলা স্তরে আলোচনায় বসেছিলাম । প্রয়োজনে রাজ্য কমিটির সুপারিশ নিয়ে তাঁকে শোকজ করা হবে । তারপর রাজ্য কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"