মালদা, 10 সেপ্টেম্বর: হরিশ্চন্দ্রপুরের পর এ বার ইংরেজবাজার ৷ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তৃণমূল পরিচালিত আরও এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ৷ ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরুও হয়ে গিয়েছে (Investigation Against Fulbaria Panchayat Pradhan) ৷ খুব তাড়াতাড়ি তার রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই তদন্তকে কেন্দ্র করে শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরা ৷
দুর্নীতি কাণ্ডে এ বার অভিযোগের কেন্দ্রে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ অভিযোগ, 2018 সালের পর থেকেই এই পঞ্চায়েতের প্রধান রহিমা বিবি এবং তাঁর স্বামী প্রায় সমস্ত সরকারি প্রকল্পেই দুর্নীতি করে যাচ্ছেন ৷ অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান সরকারি নিয়ম মেনে কোনও কাজের টেন্ডার ডাকেন না ৷ বাড়িতে বসে সরকারি প্রকল্পের কাজ করেন তাঁর স্বামী ৷ নিজের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠরাই ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও না কোনও কাজের বরাত পান বলে অভিযোগ ৷ এ ভাবে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রায় 12 কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ৷
এ নিয়ে গ্রামবাসীরা একাধিকবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় চলতি বছর ওই পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য আরশি বিবির স্বামী আব্দুল আরেফ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ৷ সেই মামলার ভিত্তিতে আদালত ফুলবাড়িয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷
আব্দুল আরেফ অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান 100 দিনের কাজ, বাঁধ সংস্কারের কাজ, সবুজায়নের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে কমিউনিটি টয়লেট, জলাধার, সব কিছুতেই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ৷ সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে তিনি গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছেন ৷ বাড়ির তৈরির টাকা আসার পর, তা পঞ্চায়েত প্রধান তুলেছেন ৷ আমার কাছে প্রতিটি অভিযোগের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ৷ আমি সেসব জেলাশাসকের কাছে এবং কলকাতা হাইকোর্টে জমা করেছি ৷ আমি চাই, উপযুক্ত প্রশাসনিক তদন্তের ভিত্তিতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানের উপযুক্ত শাস্তি হোক ৷’’