মালদা, 3 সেপ্টেম্বর : বিলের পাশের গর্ত থেকে উঁকি মারছে একটা হাত ৷ হাতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে জামার একটা টুকরো ৷ মাঠে কাজ করতে গিয়ে চমকে ওঠে চাষিরা ৷ মাটির নিচ থেকে পুলিশ নরকঙ্কাল উদ্ধার করল চাঁচল গ্রামে ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল 1নম্বর ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরবাউর গ্রামে ৷ উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটিকে নিজের নিখোঁজ ভাইয়ের বলে দাবি করেছেন স্থানীয় এক গ্রামবাসী ৷ পুলিশের কাছেও নিজের দাবি পেশ করেছেন তিনি ৷ ওই কঙ্কাল উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ও DNA টেস্টের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, DNA টেস্ট না হলে ওই কঙ্কাল কার, তা বোঝা সম্ভব নয় ৷
গতকাল বিকেলে শেরবাউর গ্রামে একটি জমিতে কাজ করার সময় চাষিরা দেখতে পান, বিলের পাশে একটি গর্তে একটি হাতের অংশ বেরিয়ে রয়েছে ৷ তাতে জামার অংশও রয়েছে ৷ এই খবর চাউর হতেই সেখানে ভিড় জমে যায় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে চাঁচল থানার পুলিশও ৷ তখনই জানা যায়, প্রায় আড়াই মাস ধরে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ৷ তাঁর নাম সুলতান আলি৷ বয়স 46 বছর ৷ পেশায় শ্রমিক ছিলেন তিনি ৷ অবিবাহিত সুলতান তাঁর দাদা আলাউদ্দিন আলির কাছেই থাকতেন ৷ জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি সুলতানের নামে সরকারি প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ হয় ৷ তার জন্য তিনি প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা পেয়েছিলেন৷ কিছুদিন আগে তিনি নিজের একটি জমিও 50 হাজার টাকায় বিক্রি করেন ৷ গত 15 জুন এই 1 লাখ 10 হাজার টাকা নিয়ে তিনি ঘরের নির্মাণ সামগ্রী কেনার জন্য বাইরে যান ৷ সেদিন থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ পরদিন তাঁর নামে চাঁচল থানায় মিসিং ডায়ারি করেন আলাউদ্দিন সাহেব ৷ সুলতানের খোঁজ শুরু করে চাঁচল থানার পুলিশ ৷ কিন্তু তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না ৷ অবশেষে গতকাল বিকেলে এলাকার একটি বিলের পাশে একটি গর্ত থেকে এই কঙ্কাল উদ্ধার হয়৷ কঙ্কালের হাতে থাকা জামার অংশ দেখে সেটি তাঁর ভাইয়ের বলে শনাক্ত করেন আলাউদ্দিন সাহেব ৷ তবে কঙ্কালের DNA পরীক্ষার আগে সেটি কার, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ ৷