কোরোনা মোকাবিলায় বর্তমান পৌরবোর্ড ব্যর্থ, কড়া সমালোচনা প্রাক্তন মন্ত্রীর
আগামীকাল থেকেই ইংরেজবাজার পৌরসভায় কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার নিয়োজিত প্রশাসক বোর্ড৷ তার আগে আজ পৌরবোর্ডের বিরুদ্ধে কোরোনা ইশ্যুতে তোপ দেগেছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু৷ তিনি বলেন, “যেভাবে জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমি নিজে ভীত৷ গতকাল পর্যন্ত সরকারিভাবে এই জেলায় 88 জন কোরোনায় আক্রান্ত৷ বেসরকারিভাবে সংখ্যাটা একশোর উপর৷ এই পরিস্থিতিতে শহরে কোরোনা নিয়ন্ত্রণ করতে বর্তমান পৌরবোর্ড কোনও কাজই করছে না৷ আমি নিজে এই পৌরসভার একজন প্রতিনিধি হিসাবে লজ্জিত৷"
মালদা, 24 মে : হিসাব মতো আজই শেষ হচ্ছে ইংরেজবাজার পৌরসভার বোর্ডের মেয়াদ৷ আর শেষদিন বর্তমান পৌরবোর্ডের বিরুদ্ধে আরও একবার তোপ দাগলেন পূর্বতন চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি৷ কোরোনা মোকাবিলায় পৌরবোর্ডের কাজকে "বড় অশ্বডিম্ব" বলে কটাক্ষ করেন তিনি । যদিও কৃষ্ণেন্দুবাবুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি বর্তমান চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ৷
আগামীকাল থেকেই ইংরেজবাজার পৌরসভায় কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার নিয়োজিত প্রশাসক বোর্ড৷ তার আগে আজ পৌরবোর্ডের বিরুদ্ধে কোরোনা ইশ্যুতে তোপ দেগেছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু৷ তিনি বলেন, “যেভাবে জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমি নিজে ভীত৷ গতকাল পর্যন্ত সরকারিভাবে এই জেলায় 88 জন কোরোনায় আক্রান্ত৷ বেসরকারিভাবে সংখ্যাটা একশোর উপর৷ এই পরিস্থিতিতে শহরে কোরোনা নিয়ন্ত্রণ করতে বর্তমান পৌরবোর্ড কোনও কাজই করছে না৷ আমি নিজে এই পৌরসভার একজন প্রতিনিধি হিসাবে লজ্জিত৷" এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে চলার উপর জোর দেন তিনি ।কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন," এখন রাজনীতি করার সময় নয়৷ বলা হচ্ছে মালদা শহরে এখনও কোরোনার অনুপ্রবেশ ঘটেনি৷ এটা ভুল কথা৷ মালদা শহর থেকেও কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ কিন্তু আক্রান্তদের আসল বাড়ি গ্রামে৷ গ্রাম থেকে শহরে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসছে৷ সবজি বিক্রেতা, মাছ-মাংস-ডিম বিক্রেতারা প্রায় সবাই গ্রামের৷ তাদের কেউ যে কোরোনা আক্রান্ত নয়, তা কীভাবে বোঝা যাবে? এই অবস্থায় পৌরবোর্ডের উচিত ছিল সবাইকে নিয়ে বৈঠক করা৷ সবাইকে সচেতন করা৷ সমাজের গণ্যমান্যদের দিয়ে সাধারণ মানুষকে কোরোনা সম্পর্কে সচেতন করা৷ আমি নিজের এলাকার মানুষকে সচেতন করেছি৷ প্রতিটি মানুষের সঙ্গে কথা বলছি৷ এলাকায় চিকিৎসক নামিয়েছি৷ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি৷ বিনা পয়সায় সবাইকে ওষুধ দিয়েছি৷ আমি এটুকুই করতে পারি৷ এর বাইরে কিছু করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়৷”
কোরোনা মোকাবিলায় ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত শহর জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছে৷ অন্তত তেমনটাই দাবি পৌরবোর্ডের৷ এপ্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দুবাবুর মন্তব্য, “এটাকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কিছু বলা যায় না৷ পৌরসভার জলের ট্যাঙ্কে কয়েক বোতল ফিনাইল ঢেলে তা ছড়িয়ে দিলেই এলাকা স্যানিটাইজ হয় না৷ তার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড কিংবা সেই জাতীয় অন্য কোনও জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হয়৷ আমি অনেক মহামারী সামলেছি৷ বন্যার সময় হাফপ্যান্ট পরে নোংরা জলে নেমে কাজ করেছি৷ 1995 সালে 24 ঘণ্টার মধ্যে বন্যাদুর্গত শহরের জমা জল নামিয়েছি৷ সব দলের মানুষকে নিয়ে কাজ করেছি৷ কেউ বলতে পারবে না, বিপন্ন সময়ে কেউ আমার কাছে এসে সাহায্য পায়নি৷ কিন্তু এখন আমরা শুধু অশ্বডিম্ব দেখছি৷ সেটা ভাঙলে কী বেরোবে আমরা কেউ জানি না৷”
যদিও এদিন কৃষ্ণেন্দুবাবুর মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ৷ তিনি শুধু বলেন, “আপনি আচরি ধর্ম পররে শিখাও৷”