মালদা,29 জুন : কুমিরের আতঙ্ক ছড়িয়েছে গাজোলের বৈরগাছি 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুবপুর গ্রামে৷ গ্রামবাসীদের দাবি, আজ সকালে ওই গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া মহানন্দা নদীতে দেখা মিলেছে কুমিরের ৷ শুধু ওই গ্রামই নয়, কুমিরের আতঙ্কে ভুগছে আশেপাশের গ্রামের লোকজনও ৷ গ্রামবাসীরা নদীতে নামা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে ৷ যদিও গাজোলের বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভরা মহানন্দায় যে প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তা কুমির নয় ৷ সেটি ঘড়িয়াল ৷ বর্তমানে এই প্রাণী বিপন্ন তালিকাভূক্ত ৷ বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এনিয়ে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷
মহানন্দায় ঘড়িয়ালকে দেখে কুমির আতঙ্ক গাজোলে - কুমীর আতঙ্ক গাজোলে
মালদায় কুতুবপুর গ্রামে কুমির আতঙ্ক ৷ গঙ্গাতে ঘড়িয়ালকে দেখে কুমির ভাবছে গ্রামবাসীরা ৷ এমনই মন্তব্য করেছেন গাজোল বনবিভাগের এক আধিকারিক ৷ এই বিষয়ে সচেতনতার প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত বনবিভাগের ৷
উল্লেখ্য, প্রায় প্রতি বর্ষায় গঙ্গায় ঘড়িয়ালের দেখা মেলে ৷ কয়েক বছর আগে বন্যা মরশুমে মহানন্দাতেও দেখা গিয়েছিল এই প্রাণীর ৷ এমনকি মালদাতেও এর দেখা মিলেছিল ৷ আজ তার দেখা পাওয়া যায় কুতুবপুর গ্রামে ৷ যদিও এই প্রাণীটিকে সবাই কুমির ভেবেছে ৷ কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা ফটিক আলি বলেন, “সকাল 10 নাগাদ নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলাম৷ তখনই নজরে পড়ে, নদীর জলে কুমির ডুবছে, ফের ভেসে উঠছে ৷ এভাবে নদীর উজানে কুমিরটা চলে যায় ৷ নদীতে কুমিরের দেখা মেলায় এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ৷ আমাদের ধারণা, গঙ্গা থেকেই কুমির কোনওভাবে মহানন্দায় চলে এসেছে ৷ গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারাও নদীতে স্নান করতে যায় ৷ ফলে কুমির তাদের যে কোনও সময় টেনে নিতে পারে৷ তাই আমরা এনিয়ে আতঙ্কে রয়েছি ৷ ” অন্য এক গ্রামবাসী রিজিয়া বিবি বলেন, “সকালে কুমির দেখার পর ভয়ে আর নদীতে নামতে পারছি না ৷ আমাদের বাড়ির সব কাজকর্ম নদীর জলেই হয় ৷ কিন্তু জল আনতে গেলেই মনে হচ্ছে, এই বোধহয় কুমীরে টেনে নিয়ে গেল ৷ তবে সকালের পর আর কুমিরটাকে দেখা যায়নি ৷ নদীর উজানে চলে গিয়েছে৷”
গাজোল বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে ৷ আমরা ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি, প্রাণীটি কুমীর নয় ৷ সেটি ঘড়িয়াল ৷ এই প্রাণী বিপন্ন তালিকাভূক্ত ৷ মূলত এই জেলার গঙ্গায় এই প্রাণীকে দেখতে পাওয়া যায় ৷ বর্ষায় এখন সব নদীতেই প্রচুর জল ৷ হয়তো সেকারণেই ঘড়িয়ালটি কোনওভাবে মহানন্দায় চলে এসেছে ৷ এরা মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণীকে সাধারণত আক্রমণ করে না ৷ মূলত মাছ ও ছোট জলজ জীব খেয়েই বেঁচে থাকে ৷ গ্রামের মানুষ এই প্রাণীর চরিত্র জানে না বলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ৷ আমরা গ্রামবাসীদের আবেদন জানাচ্ছি, ফের নদীতে দেখা গেলে কেউ যেন ঘড়িয়ালটিকে আঘাত না করে ৷ এনিয়ে আমরা বৈরগাছি এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷”