পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

মহানন্দার জলের চাপে বাঁধে ফাটল, মেরামতির কাজ শুরু প্রশাসনের

মহানন্দার জলের চাপে বাঁধে ধরেছে ফাটল ৷ জল ঢুকছে সংরক্ষিত এলাকায় ৷ তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু পৌর প্রশাসনের ৷

ছবি
ছবি

By

Published : Jul 21, 2020, 1:54 PM IST

মালদা, 21 জুলাই : লাগাতার বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়েই চলেছে মহানন্দার ৷ গত কয়েকদিন ধরেই নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ৷ এর জেরে পুরাতন মালদায় নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে ৷ জল ঢুকতে শুরু করেছে পুরাতন মালদা পৌরসভার সংরক্ষিত এলাকায় ৷ খবর পেয়েই বাঁধ মেরামতির কাজে হাত দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ৷ খবর দেওয়া হয়েছে সেচ দপ্তরকেও৷ যদিও এখনও পর্যন্ত সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে কেউ ঘটনাস্থান পরিদর্শনে যাননি ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক৷ আজ পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি ৷ ইতিমধ্যেই ওই এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

দু’তিনদিন আবহাওয়া শুকনো থাকার পর গতকাল থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি৷ গত ২৪ ঘণ্টায় মালদায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৬.৮০ মিলিমিটার ৷ সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে মহানন্দা নদীর জলস্তর ছিল ২১.৩৮ মিটার ৷ যা বিপদসীমা ২১.০০ মিটার থেকে ৩৮ সেন্টিমিটার বেশি৷ জলস্তর আজও বাড়ছে বলে সেচ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে৷ তবে জল কমতে শুরু করেছে গঙ্গার৷ গতকাল সকালে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৪.১৬ মিটার (বিপদসীমা ২৪.৬৯ মিটার)৷ ফুলহরের জলস্তর স্থির রয়েছে৷ গতকাল সকালে এই নদীর জলস্তর ছিল ২৭.৩১ মিটার (বিপদসীমা ২৭.৪৩ মিটার)৷ কোরোনা আতঙ্কের মধ্যে এই মুহূর্তে জেলাবাসীর মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মহানন্দা ৷

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পৌর প্রশাসকের বক্তব্য

সকালে পুরাতন মালদা পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় মহানন্দার বাঁধ চুঁইয়ে জল বসতি এলাকায় ঢুকতে শুরু করে৷ ইতিমধ্যেই ওই এলাকার অসংরক্ষিত এলাকায় নদীর জল ঢুকে পড়েছে৷ গৃহহীন হয়েছে শতাধিক পরিবার৷ গতকাল বাঁধ ভেঙে জল ঢোকার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়৷ স্থানীয় বাসিন্দা শুভঙ্কর বসাক বলেন, “বৃষ্টিতে বাঁধের রাস্তার ধারে ধস নেমে যায়৷ এতেই নদীর জল বাঁধের নিচ দিয়ে চুঁইয়ে এলাকায় ঢুকতে শুরু করে ৷ সেটা দেখতে পেয়েই সকালে আমরা পাড়ার লোকজন মাটি ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করি৷ খবর পেয়ে পৌরসভার প্রশাসক ঘটনাস্থানে আসেন৷ তাঁর উদ্যোগে তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে৷ তবে আমাদের ধারণা, এভাবে বাঁধ রক্ষা করা যাবে না ৷ কারণ, এখন নদীর জলের অসম্ভব চাপ৷ তবু চেষ্টা করা হচ্ছে৷ দেখা যাক, কী হয়৷”

পৌর প্রশাসক কার্তিক ঘোষ বলেন, “এর আগেই মহানন্দার জল এই ওয়ার্ডের অসংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়েছে৷ আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে কিছু আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি৷ বেশ কিছু স্কুল ও কলেজে দুর্গতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ আজ যাদের বাড়িতে জল ঢুকেছে, তাদেরও আমরা বাড়ি থেকে সরে যেতে বলেছি৷ এখানে প্রায় আড়াইশো পরিবার সমস্যায় রয়েছে৷ আমরা গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছি৷ সেচ দপ্তরকেও খবর দেওয়া হয়েছে৷”

ABOUT THE AUTHOR

...view details