মালদা, 15 সেপ্টেম্বর : কোরোনা পরিস্থিতিতে মাত্র তিন মাস আগে নিকাহ হয়েছে ৷ কিন্তু বিবি ঘরে আসার পর জমানো টাকা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছিল ৷ তাই কোরোনার আতঙ্ক নিয়ে 22 দিন আগে চেন্নাই পাড়ি দিয়েছিলেন ইংরেজবাজার ব্লকের জোত বসন্ত গ্রামের জ়ুবাইর আলি (20) ৷ 15 দিন আগে সেখানে কাজে যোগ দেন তিনি ৷ গতকাল টাওয়ারের উপর থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচাতে পারেননি ৷ পরে তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ ফলে জ়ুবাইরের মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ এখন শুধু কান্নার রোল মৃত জ়ুবাইর আলির বাড়িতে ৷
জ়ুবাইরের আব্বা সাবিরুদ্দিন আলি একসময় শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ বয়সের সঙ্গে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন ৷ তাঁর পাঁচ ছেলের মধ্যে জ়ুবাইর চতুর্থ ৷ কোরোনা আবহে তিন মাস আগে ছেলের নিকাহ করিয়েছিলেন তিনি ৷ পুত্রবধূ নাসিমা বিবির বাড়ি পাশের গ্রামে ৷ জ়ুবাইরের চাচা মহম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “এখানে কাজকর্ম কিছু নেই ৷ তাই ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে গেছিল জ়ুবাইর ৷ এখান থেকে যাওয়ার সময় কোরোনা পরীক্ষা করে গিয়েছিল ৷ ওর কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল ৷ দুর্ঘটনার পর ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ মৃত্যুর পর ওর লালরসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৷ তাতে কোরোনা পজ়িটিভ এসেছে ৷ তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জ়ুবেইরের দেহ বাড়ি আনতে দেয়নি ৷ আমরা ওর মৃতদেহ দাবি করছি ৷”