পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Mar 9, 2019, 12:12 PM IST

ETV Bharat / city

মালদায় আসছেন রাহুল গান্ধি, সভাস্থল নিয়ে শুরু বিতর্ক

৫ মার্চ মালদায় আসছেন রাহুল গান্ধি। তার জন্য নিজেদের পছন্দের সভাস্থলের অনুমতি নিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস। তবে, এখনও অনুমতি পায়নি তারা। সভাস্থল নিয়ে শুরু বিতর্ক

ফাইল ফোটো

মালদা, ৯ মার্চ : অমিত শাহর পর এবার রাহুল গান্ধির সভাস্থলের অনুমতি দেওয়া নিয়ে বিতর্কে মালদা জেলা প্রশাসন। ১৫ মার্চ মালদায় আসছেন রাহুল গান্ধি। তার জন্য নিজেদের পছন্দের সভাস্থলের অনুমতি নিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস। তবে, এখনও অনুমতি পায়নি তারা। গতকাল দলীয় বিধায়ককে নিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে এলে তিনি দেখা করেননি বলে অভিযোগ।

মালদার সামসি কলেজ ময়দানে রাহুল গান্ধির সভার অনুমতি নিতে গতকাল দলীয় বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদারকে সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনে যান জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম। অভিযোগ, অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও তাঁরা জেলাশাসকের দেখা পাননি। মোস্তাক আলম বলেন, "আগামী ১৫ তারিখ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধি মালদায় আসছেন। আমরা সামসি কলেজ ময়দানে রাহুলজির সভা করতে চাই। এর আগেও দলের বিভিন্ন নেতানেত্রী সেই মাঠে জনসভা করে গেছেন। ওই মাঠে সভা করার অনুমতি পাওয়ার জন্য চাঁচলের মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। জেলাশাসককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এনিয়ে গতকাল প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু) জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি নিজেও জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর পাইনি। তাই, আমি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। কিন্তু, তাঁর দেখা পাইনি। যাই হোক, রাহুল গান্ধির মালদার সভা নিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।"

অন্যদিকে, গতকাল মালদায় দলীয় বৈঠকে অংশ নিতে এসে CPI(M) সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, "লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে এঁড়েমি করছে কংগ্রেস।" এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে যান মোস্তাক আলম। তিনি বলেন, "এটি সর্বভারতীয় বিষয়। রাহুল গান্ধি, প্রদীপ ভট্টাচার্য, সোমেন মিত্র, শংকর মালাকাররা এই বিষয়টি দেখছেন। আসন সমঝোতা নিয়ে দুই দলের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা তাঁরাই বলতে পারবেন। এসব বিষয় নিয়ে জেলা স্তর থেকে আমাদের মন্তব্য না করাটাই বাঞ্ছনীয়। সেলিম কী বলেছেন, জানি না। তবে, তিনি যাই বলুন না কেন, আমি তার উত্তর দিতে চাই না। রায়গঞ্জ আসনে দীপা দাশমুন্সি মাত্র ১৩০০ ভোটে হেরেছিলেন। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রেও কংগ্রেস প্রার্থী অল্প ভোটে হেরেছিলেন। এই দুই জায়গায় কংগ্রেসের শক্ত সংগঠন। আর তাই খুব স্বাভাবিকভাবে এই দুই জায়গায় কংগ্রেস নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে চাইছে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details